রাত ১২টা থেকে ফেনী ‘অবরুদ্ধ’
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে ফেনীকে লকডাউন করা হচ্ছে। আজ রাত ১২টা হতে এ অবস্থা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান।
জেলা প্রশাসক বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে। এখন থেকেই তা সকলকে মেনে চলা উচিত।
তিনি বলেন, জনস্বার্থ বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখতে হবে। একজনের অধিক চলাফেরা যাবে না।
এর আগে গতকাল সদর ব্যতিত ফেনীর পাঁচ উপজলায় আজ হতে লকডাউন করা হয়েছে। ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, ফুলগাজী, সোনাগাজী ও দাগনভূঞায় চলাচলের ওপর প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এ সময়ে শুধু ঔষধের দোকান খোলা থাকবে। এছাড়া সকাল ৮ টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। এছাড়া বাকি সবকিছু বন্ধ থাকবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্যাংকিং লেনদেন চলবে।
বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেল থেকে প্রশাসনের সহায়তায় মাঠে নামবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। শহরের টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অস্থায়ী ক্যাম্প করে তারা সেখানে অবস্থান করবেন। ওই স্থান থেকে তারা জেলার বিভিন্ন স্পটে টহল জোরদার করবেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রশাসন, সেনাবাহিনী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভায় জেলা পশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট করোনাভাইরাস সম্পর্কিত প্রস্তুতি ও কর্মকান্ড বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে আমরা স্টেজ-২ তে আছি। আমরা যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখি তবে আমাদের জনসংখ্যার ঘনত্বের ফলে খারাপ সংবাদ বয়ে আনবে।
কুমিল্লা সেনানিবাস ২৮ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি অধিনায়ক লে. কর্নেল আসিফ আজমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২৬ মার্চ হতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন যাতে সবাই বাসায় থেকে সংক্রমণ রোধ করতে পারি। সুতরাং এটি মেনে চলতেই হবে।