বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ: হানিফ



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে একটি৷ এই ভাষণের মধ্যেই মূলত একটি জাতিরাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে পশ্চিম পাকিস্তানিরা। আর তাদেরকে সহায়তা করেছে খুনী জিয়া। জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনীদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো পুরস্কৃত করেছেন,চাকরি দিয়েছেন বিভিন্ন দূতাবাসে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যার অঙ্গীকার' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির অনেক নেতা এখন মায়া কান্না করেন, মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন। আবার বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন আজ৷ আমার প্রশ্ন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তখন তারা কোথায় ছিলেন, আর কোথায় ছিল তাদের মানবাধিকার? 

তিনি আরও বলেন, কিছু জ্ঞানপাপী ব্যক্তি বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং জাতি গঠনে তার অবদান নিয়ে অপপ্রচার করছে। কিন্তু দু:খের বিষয় হল আমাদের সেগুলো শুনতে হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ দুটি সমার্থক শব্দ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এমনি এমনি আসেনি,স্বাধীনতা এসেছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। তার অসাম্প্রদায়িক চেতনা মানে ছিল, যে যার ধর্ম কোন বাধা ছাড়াই পালন করতে পারবেন৷ বঙ্গবন্ধু হাজীদের জন্য তৎকালীন সময়ে অনেক সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছিলেন৷ এখন আমাদের সবার ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শক্তিকে টিকিয়ে রাখতে কাজ করে যেতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ'র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নীলদলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দিন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মেফ্তাহুল হাসান।

পাঠকৃত প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করেন জবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ-উল-আলম এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন নীলদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া। পাশাপাশি বক্তব্য প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

   

‘দেশকে এগিয়ে নিতে চাইলে শিক্ষকদের সম্মান দিতে হবে’



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন জাবি শিক্ষকদের

অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন জাবি শিক্ষকদের

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার, সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষকরা।

বুধবার (২৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোতাহার হোসেনের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে ৬টি অনুষদ ও ইন্সটিটিউটসমূহের শিক্ষকরা দ্রুততম সময়ে এ পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সরকার নানা ক্ষেত্রে শিক্ষকদের চেপে ধরেছে মন্তব্য করে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, শিক্ষক হিসেবে সরকারের কাছ থেকে পেনশন ছাড়া আমাদের তেমন কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। এটা আমাদের ন্যূনতম অধিকার। অন্যান্য সরকারি আমলাদের মতো আমাদের তেমন বেনিফিট নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অবহেলিত। এসব বিবেচনায় পেনশন স্কিম বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।

দেশকে এগিয়ে নিতে চাইলে শিক্ষকদের সম্মান দিতে হবে মন্তব্য করে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদেরকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন না। জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অনেক। তাই শিক্ষকদের সম্মানে সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ১ জুলাই থেকে নিয়োগপ্রাপ্তরা এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবেন বলে জানানো হয়৷

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করে আসছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং ৩০ জুন পূর্ণ কর্মদিবস পালন করা হবে। তবে এ সময়ে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।

;

এইচএসসি পরীক্ষা

চট্টগ্রামে বাড়লো বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষার পরীক্ষার্থী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন ১ লাখ ৬ হাজার ৩৪ জন পরীক্ষার্থী। আগের বছরের তুলনায় এবার ৩ হাজার ৫শ ৬৬ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে। ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৪শ ৬৮ জন।

এবার চট্টগ্রাম বোর্ডে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষার্থী বেড়েছে। তবে কিছুটা কমেছে মানবিক বিভাগে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২৩ হাজার ৫শ ৩২, মানবিক বিভাগে ৪৬ হাজার ২শ ৭৩, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩৬ হাজার ২শ ২৫ জন এবং গার্হস্থ্য বিভাগের ৪ জন।

২০২৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০ হাজার ৭শ ৪৫, মানবিক বিভাগ থেকে ৪৬ হাজার ৭শ ৪৬ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩৪ হাজার ৯শ ৭০ জন এবং গার্হস্থ্য বিভাগ থেকে ৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

বুধবার (২৬ জুন) চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, এবার ২শ ৮৭টি কলেজের ১ লাখ ৬ হাজার ৩৪ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ১শ ১৫টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে ২৮টি সাধারণ ও ১০টি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড।

তিনি বলেন, এবারও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই চট্টগ্রাম জেলার। এই জেলার ৭৬ হাজার ১শ৭৯ জন পরীক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশ নেবে। এছাড়া কক্সবাজার জেলা থেকে ১৩ হাজার ৪শ ৬৩, রাঙামাটি জেলা থেকে ৫ হাজার ৬শ ৬৩ জন, খাগড়াছড়ি জেলার ৬ হাজার ৭শ ২৭ এবং বান্দরবান জেলা ৪ হাজার ২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।

;

ঢাবিতে 'বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম' চালুর সিদ্ধান্ত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাবিতে 'বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম' চালুর সিদ্ধান্ত

ঢাবিতে 'বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম' চালুর সিদ্ধান্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে 'বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম' চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে সিনেট চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস মাকসুদ কামাল ঘোষণা দেন।

অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম' চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবং একটি নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করা হবে। ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে সম্মানজনক বৃত্তির অর্থ-সহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা পাবেন, যা উন্নত বিশ্বের প্রায় অনুরূপ।

উপাচার্য আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনো চিকিৎসা অনুষদ নেই। বেইজিং, টোকিও, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-সহ পৃথিবীর প্রায় সকল বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল ফ্যাকাল্টি কাম হসপিটাল রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্ব স্ব দেশে চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণা এবং স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। জমি পাওয়া গেলে পূর্বাচল ক্যাম্পাসে একটি বিশ্বমানের মেডিকেল ফ্যাকাল্টি কাম হসপিটাল গড়ে তোলা হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আরও জানান, বৈশ্বিক মানদণ্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতা, দুর্বলতা ও করণীয় ইতোমধ্যে আমরা নির্ধারণ করতে পেরেছি। সেই অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানকে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করতে বহুমাত্রিক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

বাজেট অভিভাষণে উপাচার্য আরও জানান, আর্থিক অস্বচ্ছলতা ও আবাসনের অসুবিধার কারণে প্রায়শ প্রথম বর্ষে বহু শিক্ষার্থী হতাশাগ্রস্ত ও বিপথগামী হয়ে যায়। এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির নীতিমালা, ২০২৪' নামে একটি নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ট্রেজারারের নেতৃত্বে প্রণয়ন করা হয়েছে। কমবেশি ৪ হাজার টাকা প্রতি মাসে তাদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে।

;

ঢাবিতে ৯৪৫ কোটি টাকার বাজেট, গবেষণায় ২০ কোটি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জন্য ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। সিনেট অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এ টাকার সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ।

বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিকেল থেকে চলমান বাজেট অধিবেশনে তিনি নতুন অর্থবছরের বাজেট ও গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করেন। এ বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সিনেট চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস মাকসুদ কামাল।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার বাজেটের মধ্যে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৬৩৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা রাখা হয়েছে যা মোট ব্যয়ের ৬৭ শতাংশ। এছাড়া পণ্য ও সেবা খাতে ২২০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে যা যথাক্রমে ২৩.৩৩ শতাংশ।

অন্যদিকে গবেষণা মঞ্জুরী বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ২০ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। যা মোট ব্যয়ের মাত্র ২.১২ শতাংশ। তবে এতে বিগত অর্থবছরের থেকে ৫ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মূল বাজেট ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৩১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দের পরিমাণ ৮০৪ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা, যা ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের মূল বরাদ্দের চাইতে ৩৫ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা বেশি।

সিনেট অধিবেশন বাজেট উপস্থাপনকালে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আমরা যে চাহিদা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের (বিমক) নিকট প্রেরণ করি তা ছিল ১১৩১ কোটি ১৭ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা। বিমক আমাদেরকে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজনের তুলনায় ৩২৬ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা কম বরাদ্দ দিয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়কে কাল্পনিকভাবে বেশি করে ধরে দিয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষার্থী পূর্বের তুলনায় কম সংখ্যক ভর্তি করা হচ্ছে। ছাত্রদের টিউশন ফি বৃদ্ধি করা হয়নি।

বাজেটে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে পাওয়া যাবে ৮০৪ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। এছাড়া নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা এবং ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০ কোটি ৭৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৫.৩৭ শতাংশ।

২০২৩-২০২৪ সালের মূল বাজেট ছিল ৯১৩ কোটি ৮৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা। সংশোধিত বাজেটে ৫৯ কোটি ১৫ লক্ষ ৯১ হাজার বৃদ্ধি করে সংশোধিত বাজেট দাঁড়ায় ৯৭৩ কোটি ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা। সংশোধিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে অনুদান ৭৭৬ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা এবং নিজস্ব আয় হিসেবে ৯০ কোটি টাকাসহ আয় ধরা হয়েছে ৮৯১ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। ফলে বিগত বছরের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৮১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা, যা মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৮.৩৬ শতাংশ।

;