জাবি প্রশাসনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বর্জন করলো বিএনপিপন্থীরা



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন ৪১তম সিনেট অধিবেশন শুরু করার পূর্বে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন করলেও এ কর্মসূচী বর্জন করেছেন বিএনপিপন্থী সিনেট সদস্যরা।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সিনেট হলে উপাচার্যের সভাপতিত্বে ৪১তম সিনেট সভার কার্যক্রম শুরুর পূর্ব মুহূর্তে এ কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী বর্জন সম্পর্কে সিনেট সদস্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন না করে প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে নির্বিচারে গাছ কেটে এভাবে লোক দেখানো বৃক্ষরোপণ প্রশাসনের স্ববিরোধিতা। এই কর্মসূচি পালনের জন্য ফরমালি জানানো হয়নি। একজন নিম্নপদস্থ কর্মকর্তার মাধ্যমে আমাদের জানানো হয়েছে। আমরা মনে করি এটা আমাদের সাথে তামাশা করা হয়েছে। আমাদের অংশগ্রহণকে অনুৎসাহিত করারই একটা প্রক্রিয়া। তাই আমরা এ কর্মসূচী বর্জন করেছি।

সিনেট সদস্য অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, গাছ লাগানো ও গাছ কাটা দুটিই সুচিন্তিত হওয়া উচিত। ছাত্র-শিক্ষক সবার চাওয়া ছিল মাস্টারপ্ল্যান। মাস্টারপ্ল্যান ছাড়াই এখানে লাগানো হয়েছে। এগুলো যে আগামীতে কাটা হবে না- তার নিশ্চয়তা কি উপাচার্য দিতে পারবেন? এই গাছ লাগানোর প্রোগ্রামটি প্রহসনমূলক। গাছ লাগানোর আগে সুচিন্তিতভাবে গাছ লাগাতে হবে ও তার দেখভাল করতে হবে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অধিকতর উন্নয়ন নিয়ে শুরু থেকে সকল অনিয়মের সিনেটিয় তদন্ত কমিটির দাবি উত্থাপন করবেন বলে জানান বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এ সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩১৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।

৪১তম সিনেট অধিবেশনের আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে- উপাচার্যের ভাষণ ও আলোচনা, সিনেটের ৪০তম অধিবেশনের কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ, ২৪ জুন ২০২৩ এ অনুষ্ঠিত সিনেটের ৪০তম বার্ষিক সভার ভার্বেটিম রিপোর্ট অনুমোদন বিবেচনা, ২০২৩-২৪ সনের (সংশোধিত) এবং ২০২৪-২৫ সনের (মূল) রেকারিং বাজেট অনুমোদন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের খসড়া বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ অনুষ্ঠিত শিক্ষা পর্ষদের ১৩৮তম সভায় সংশোধিত ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর প্রস্তাবিত সংবিধি অনুমোদনের জন্য ২৩ মে ২০২৪ তারিখের সিন্ডিকেট সভার সুপারিশ বিবেচনা ও বিবিধ।

ইবিতে শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি, সেশন জটের শঙ্কা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

সার্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’ এর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন সুপার গ্রেড ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন সহ সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে গিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা।

সোমবার (১ জুলাই) থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে অচল অবস্থার মধ্যে পড়ে সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু বিভাগে পূর্বে থেকেই সেশনজট বিদ্যমান রয়েছে। এর মাঝে নতুন এই কর্মবিরতির কারণে শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত তাদের ভবিষ্যত একাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।

তাদের দাবি মাত্রই আমরা ঈদুল আজহা এবং গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরলাম। এসেই আবার এমন একটি অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার করছি। বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার ফাইনালের মতো পরীক্ষাও আটকে রয়েছে শিক্ষকদের এই আন্দোলনের মধ্যে। বিষয়টিকে অনেকে করোনা মহামারিতে পিছিয়ে পরা শিক্ষাব্যবস্থার সাথেও তুলনা করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী যায়িদ বিন ফিরোজ বলেন, আমাদের চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরুর কথা ছিলো জুলাই মাসের ১ তারিখে। কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে এখন দেখছি যে পরীক্ষা হবে না। কবে নাগাদ হতে পারে সে বিষয়েও তারা কোনো আশ্বাস দিচ্ছে না। আমাদের মতো এমন অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এই অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছে। চাইবো যেনো দ্রুত শিক্ষকরা আবার একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরে আসে। না হয় আমাদের করোনা পরবর্তী আবার সেশন জটের একটি সম্ভাবনা তৈরি হবে, যা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনেও খারাপ প্রভাব ফেলবে।

এদিকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ এ অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েরল শিক্ষকরা। গত দু’মাস ধরে বিবৃতি, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় ১লা জুলাই থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।

এবিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, আমরা শুরুতেই সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাই নি। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে চেয়েছিলাম যেনো আগেই এর সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু কোনো সুরাহা না পেয়ে আজকের এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছি আমরা। সারা বাংলাদেশের সকল পবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে আজকের এই প্রথম দিনের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আমরা আশাকরি সংশ্লিষ্ট মহল বিষয়টি আমলে নিয়ে খুব দ্রুত এর সমাধান দিবেন।

সেশন জটের আশঙ্কা নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আন্দোলনটি দীর্ঘদিন চলমান থাকলে কিছুটা সেশনজট হতে পারে। তবে আমরা শিক্ষকরা অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে হলেও শিক্ষার্থীদের ক্ষতি যাতে না হয় তার চেষ্টা করবো। আমরা সরকার থেকে সমাধান পেলেই আবার পুরোদমে ক্লাস কার্যক্রমে ফিরে আসবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এধরণের আন্দোলন বা কর্মসূচি চলমান থাকলে অবশ্যই সাময়িকভাবে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হতে পারে৷ তবে শিক্ষকরা চাইলে আবার সেই ক্ষতিটুকু পুষিয়ে নিতে পারবেন। আমার শিক্ষকদের প্রতি আহবান থাকবে যখন বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে তারা যেনো এই বিষয়ে নজর দিয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।

;

জাবিতে র‍্যাগ ৪৪ এর রাজা-রানী নির্বাচন ২৬ জুলাই



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: রাজা-রানী নির্বাচনের প্রার্থী সাকিনা ইসলাম ঈষিকা, শাকিল মাহমুদ মিহির, মুনতাকা ইবনাত তুবামো ও নিক্সন খান

ছবি: রাজা-রানী নির্বাচনের প্রার্থী সাকিনা ইসলাম ঈষিকা, শাকিল মাহমুদ মিহির, মুনতাকা ইবনাত তুবামো ও নিক্সন খান

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ৪৪ তম ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী উৎসবের (র‍্যাগ ৪৪) রাজা রানী নির্বাচন ২৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে রাজা পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলা বিভাগের মো. শাকিল মাহমুদ মিহির ও নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের নিক্সন খান।

অন্যদিকে রানী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সাকিনা ইসলাম ঈষিকা ও চারুকলা বিভাগের মুনতাকা ইবনাত তুবা।

সোমবার (১ জুলাই) বিকাল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার ও শিক্ষা সমাপনীর আয়োজকরা এসব তথ্য জানান৷

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার রাহুল মন্ডল জানান, '২৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ভবনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটগণনা শেষে সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে। যারা দেশের বাইরে রয়েছে তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভোট প্রদান করতে পারবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন র‌্যাগ ৪৪ এর আহ্বায়ক লেলিন মাহবুব, কোষাধ্যক্ষ আবু ওয়ালিদ, রাজা রানী নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাহুল এম ইউসুফ, নির্বাচন কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ৷

;

শিক্ষকদের আন্দোলনে স্থবির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়



মাহমুদুল হাসান, জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার, সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকরা। এতে সব ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ধরনের স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।

পরবর্তী প্রজন্ম এবং তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি মন্তব্য করে শিক্ষক সমিতি সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, বিগত তিন মাস যাবত চলে আসা ধারাবাহিক আন্দোলনে আমরা পরীক্ষাকে এর আওতামুক্ত রেখেছি৷ আমরা জানি ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখলে ক্ষতিটা পারতপক্ষে আমাদের শিক্ষার্থীদেরই হয়৷ এখন আসলে আমাদের আর কিছু করার নাই, দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে৷ আমাদের নতুন প্রজন্মের ভালোর জন্য, ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য এবং দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ভালোর জন্যই আমরা এই আন্দোলন করছি৷

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে যারা শিক্ষক হবেন এমনকি আজকে থেকে যারা জয়েন করবেন তারা কোন পেনশন পাবেন না৷ তাহলে এর মধ্যে যারা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চান তারা তো আর আসবেন না৷ আর ভালো ছাত্রছাত্রীরা যদি শিক্ষকতা পেশায় না আসে তাহলে গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা শূন্যতা সৃষ্টি হবে৷ এমনটা হলে একটা জাতি কিভাবে চলবে? এর ফলে দেশ ও জাতির সুস্থ বিকাশে অসামঞ্জস্যতা দেখা দিবে৷ আমরা চাই সার্বিক বিবেচনায় সরকার আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে৷ সরকার দাবি মেনে নিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে এক্সট্রা ক্লাস নিয়ে হোক, ছুটির দিনে ক্লাস নিয়ে হোক আমরা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব৷

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহেদ রানা বলেন, আমরা যারা বর্তমান শিক্ষকতা পেশায় আছি তারা কিন্তু বিদ্যমান যে পেনশন ব্যবস্থা রয়েছে সেটার অন্তর্ভুক্ত৷ আমরা প্রত্যয় স্কিমের অন্তর্ভুক্ত নই এবং এই স্কিমে কিন্তু আমাদের লাভ বা ক্ষতি কোনটাই হচ্ছে না৷ আমরা আমাদের এই আন্দোলন করছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, ভালো শিক্ষার্থীরা যারা শিক্ষকতায় পেশায় আসতে চান তাদের মঙ্গলের জন্য৷

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই আজকে থেকে যারা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করবে তারাও আমাদের মতোই সুযোগ-সুবিধা যেন পায়৷ এখানে আমি পাব এক স্কেলের পেনশন আমার পরবর্তীতে যারা আসবে তারা পাবে আরেক স্কেলের পেনশন, যেটা বৈষম্য সৃষ্টি করবে৷ এসব সার্বিক বিষয় নিয়েই আমাদের এই আন্দোলন৷ আমরা আশা করছি সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের এই ন্যায্য দাবি মেনে নিবে৷

এদিকে সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল থেকেই পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাবি অফিসার সমিতি।

একই দেশে দুই ধরণের পেনশননীতি চলতে পারে না মন্তব্য করে অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, আমরা এই পেনশন প্রথা বাতিল করে পূর্বের প্রথা বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তিনি আরো বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতি এবং কর্মচারী সমিতি মিলে একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন ও কর্মবিরতি পালন করবো।

এর আগে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৫,২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস এবং ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বিগত কর্মসূচিতে শ্রেনীকার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পরীক্ষাসমূহ ছিল চলমান। কিন্তু আজ সোমবার থেকে সব ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

;

‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি শিক্ষকদের স্বার্থে নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য’



চবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম
অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান/ছবি: সংগৃহীত

অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বাত্মক কর্মবিরতি শিক্ষকদের স্বার্থে নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।

সোমবার (০১ জুলাই) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষকদের ডাকা সর্বাত্মক কর্মবিরতি সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষকরা কখনো চাই না শিক্ষার্থীরা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক। ইতোপূর্বে কোভিডের সময়ে সেশনজট তৈরি হয়েছিল।আমরা অনলাইনে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে সেশনজট মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, আমাদের এই পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। সাময়িকভাবে মনে হতে পারে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ আন্দোলন বর্তমান শিক্ষকদের স্বার্থের জন্য নয়, এ আন্দোলন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।

আগামী দিনে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ সকল জায়গাতে আসবে, কিন্তু সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা হয়, তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি এবং শিক্ষকতার প্রতি বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এই দায়বদ্ধতা থেকেই আমাদের এই আন্দোলন। আমরা আশা করছি, আমাদের এই দাবি মেনে নেওয়া হবে, এবং আমরা ক্লাসে ফিরবো। আমরা চেষ্টা করব, এ আন্দোলনের ফলে যতটুক ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা সারিয়ে নিতে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সোমবার (০১ জুলাই) থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দাফতরিক ও একাডেমিক সকল কাজ হতে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ঘোষণা দিয়েছে সর্বাত্মক কর্মবিরতির। এতে করে শিক্ষার্থীরা রয়েছে চরম অনিশ্চয়তায়। সেশনজটের আশঙ্কাও করছেন অনেক শিক্ষার্থী।

তবে এ আন্দোলন শিক্ষার্থীদের সেশনজটের কারণ হবে না বলে জানিয়েছেন চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ.বি. এম আবু নোমান। তিনি বলেন, আমাদের এই কর্মবিরতির কারণে শিক্ষার্থীদের যদি কোনো ক্ষতি হয়, অনলাইনে ক্লাস নিয়ে, অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে এছাড়াও প্র‍য়োজনে বন্ধের দিনে ক্লাস নিয়ে আমরা এই ক্ষতি পোষিয়ে নিব।

;