ত্রাণসামগ্রী নিয়ে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুরে ইবি শিক্ষার্থীরা

  বন্যা পরিস্থিতি
  • ইবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ত্রাণ প্যাকেজিংয়ে ইবি শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

ত্রাণ প্যাকেজিংয়ে ইবি শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

নতুন করে প্লাবিত নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বন্যার্তদের সহায়তায় বন্যাকবলিত এলাকায় পৌঁছেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এক হাজারেরও বেশী পরিবারের জন্য প্রায় ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা সমমূল্যের সামগ্রী নিয়ে সেখানে পৌঁছেছেন তারা।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে বন্যাকবলিত এলাকায় পৌঁছেছেন তারা। এর আগে গতকাল মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ টি বাসে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে রওনা হন তারা। এসময় তারা ১০০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী প্যাকেট করে সাথে নেয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও মালামাল সাথে করে নিয়ে যান।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ফান্ড কালেকশন করা হয়। পরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি'র ১১৬ নং কক্ষে প্যাকেজিংয়ের কাজ শুরু করেন তারা। টানা তিনদিন একত্রে কাজ করে গতকাল রাত্রে রওনা দেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ জানান, আমরা এখানে ২৫ জন শিক্ষার্থী এসেছি। আসার পর আমরা ৪ জন করে দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়বো। তাছাড়া আমাদের এখানকার অনেক বন্ধুবান্ধব আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে সহায়তা করবে। নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুরের যেসব এলাকায় এখনো ত্রাণ পৌঁছায়নি সেখানে আমরা ত্রাণ পৌঁছে দিবো।

বিজ্ঞাপন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, সকলের গত কয়েকদিন ধরে পরিশ্রমের ফলাফল এটি। আমরা এখানে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর নতুন করে প্লাবিত হওয়ায় এখানে এসেছি। এক হাজারের বেশি বন্যার্ত পরিবারের জন্য জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নেয়া হয়েছে। ত্রাণসামগ্রী বন্টনের পর বানভাসিদের পূনর্বাসনের জন্যও আমরা কাজ করবো।