জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস এর কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রশাসন থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে আন্দোলন ও অগ্রগতি নিয়ে করা এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এই হুশিয়ারি দেন।
এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রাকিব বলেন, আপনারা অবগত আছেন যে গত ১২ই নভেম্বর ২য় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর চাই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ১৩ই নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহ ছাত্র প্রতিনিধিদের সভা হয় সেখানে ২য় ক্যাম্পাস সংক্রান্ত সকল বিষয় আলোচনা হয় এবং সেনাবাহীনিকে কাজ হস্তান্তরের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিবে বলে তারা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বসে তাদেরকে একটা যৌক্তিক সময় দেই। কিন্তু প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও কোনো অগ্রগতি দেখতে না পেয়ে আমরা আজকে প্রশাসনের কাছে আপডেট জানতে চাই এবং তারা নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অবহিত করেন।
প্রথমত, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চেয়েছে জরুরী ভিত্তিতে পিডি নিয়োগ দিতে কিন্তু এ বিষয়ে অভিযোগ উঠায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে যে, পিডি নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন অনুযায়ী সম্পন্ন হবে।
দ্বিতীয়ত, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে ইউজিসি বরাবর একটি চিঠি দিয়েছি। ইউজিসি সেই চিঠিটি কয়েকদিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে বলে আমাদের জানিয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি এবং আশা করি দ্রুত কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তৃতীয়ত, ভূমি অধিগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এসময় তিনি বলেন, তাদের কথায় এটা স্পষ্ট যে পুনরায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখা যাচ্ছে যা এড়ানোর জন্যই মূলত আমরা আন্দোলন করেছি। অবশেষে বলতে চাই আমরা কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখতে চাই না, লাল ফিতার দৌরাত্বের মুখোমুখি আমরা হতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে এই সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মিটিং আছে, আমরা মিটিং পর্যন্ত অপেক্ষা করবো এবং এই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত না আসলে, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান রাব্বি বলেন, আমরা কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবো যদি আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া না হয়। আমরা খুব শীঘ্রই কর্মসূচি জানিয়ে দিব।