সীমান্তে ফেলানী হত্যার বিচারের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
ভারতের বিএসএফ কর্তৃক ফেলানী হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়ামোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকের সামনে সমবেত হন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল, এস এম সায়েম সহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলে শিক্ষার্থীদের ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; ভারতীয় আগ্রাসন, মানি না মানবো না; পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়ো ভারত ভক্তি; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; আজকের এই দিনে, ফেলানী তোমায় মনে পড়ে; আজকের এই দিনে, আবরার তোমায় মনে পড়ে ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় বক্তারা বলেন, আজকের এই দিনে ঠিক ১৪ বছর আগে আমাদের বোন ফেলানীকে হত্যা করে সীমান্তে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিলো। বিশ্ববাসী দেখেছে যে ফেলানী ঝুলছে, কিন্তু সেদিন শুধু ফেলানী নয় রক্তাক্ত বাংলাদেশ ঝুলছিলো কাঁটাতারে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার এর বিচার করা তো দূরের কথা, বিচার চায়নিও তারা। উলটো ভারতের কাছে নতজানু হয়ে ছিলো। আমাদের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের দাবি অতি দ্রুত যেনো আমার বোনের হত্যার বিচার করা হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ১১ বছর আগে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনী কুড়িগ্রাম সীমান্তে কাঁটাতারের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিলো। সেদিন তারা পুরো বাংলাদেশের মানচিত্রকে রক্তাক্ত করে কাঁটাতারের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিলো বলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক থাকবে চোখে চোখ রেখে। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার ভারতের সাথে নতজানু পররাষ্ট্রনিতীর কারণে তাদের কাছে নত হয়ে থাকতো। তবে জুলাই বিপ্লবের পর যে সরকার গঠিত হয়েছে তাদের মনে রাখতে হবে ভারত আমাদের কাছে এমন কিছু নয়।
তিনি আরও বলেন, এই আমার বোন ফেলানী হত্যার বিচার অনতিবিলম্বে করতে হবে। ভারতকে এর সমুচিত জবাব দিতে হবে। আগামীর দিনে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক হবে চোখে চোখ রেখে এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে।