রাবির সেই তিন শিক্ষক নিয়োগের রায় স্থগিত

  • রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৪৯৭তম সিন্ডিকেট সভায় ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে নিয়োগ পাওয়া সেই ৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা রাবি কর্তৃপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত।

বিজ্ঞাপন

গত ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন। আপিল মামলায় বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, সোমবার ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি ছিল। শুনানি শেষে আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। আপিলের রায় হতে আরও ২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তখন ৩৮ জন আবেদন করলেও সেই বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ হয়নি। পরে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হয়ে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা শিথিল করেন ও ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই বিভাগটিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পুনঃসংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। সেখানে ৪৭ জনের আবেদন জমা পড়ে।

পরে বিভাগের শিক্ষক ও প্ল্যানিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক মু. আলী আসগর নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২১ আগস্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া কেন অবৈধ হবে না জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত ২৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯৭তম সিন্ডিকেট সভায় নতুন বিজ্ঞপ্তির আলোকে তিনজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। পরে ২৮ জানুয়ারি তাদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে নিয়োগ বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। এছাড়াও পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ২০১৬ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে পুনরায় শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

নিয়োগপ্রাপ্ত ওই তিন শিক্ষকের নাম শামসুন্নাহার, মুখতার হোসেন ও রেজভী আহমেদ ভূঁইয়া। নিয়োগের পরদিন ২৭ জানুয়ারি তারা বিভাগে যোগদান করেন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তারা বিভাগে ক্লাস নিয়েছেন।

ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই তিন শিক্ষককে বিভাগে যোগদান করানো হয়েছে। এখন তারা ক্লাস নিচ্ছেন।

মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আলতাফ হোসাইন বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের রায় চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আপিলের শুনানি হয়েছে আজ। এতে আদালত রায়ের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। তাই তাদের বিভাগে যোগদান ও ক্লাস নিতে কোনো বাধা নেই।