বিএনপির কার্যালয়ে রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ড!

  • অলক সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,ঝালকাঠি
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হোটেলের সাইনবোর্ড/ছবি: বার্তা২৪

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হোটেলের সাইনবোর্ড/ছবি: বার্তা২৪

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে আরাফাত হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। ভাড়া বকেয়া থাকা ভবন কর্তৃপক্ষ এ সাইনবোর্ড লাগিয়েছে বলে জানা গেছে।

জেলা বিএনপির কার্যালয়ের আসবাবপত্র বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়েছে ভবন মালিকপক্ষ। ফলে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার মতো এখন আর কোনো অফিস ঘর নেই ঝালকাঠি জেলায়। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

গত শুক্রবার বিকালে শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে অবস্থিত জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সাইনবোর্ড খুলে ফেলে ভবন মালিক মৃত রশিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম। পরে আসবাবপত্র বের করে তালা ঝুলিয়ে দেন।

সোমবার দুপুরে দখল করা ওই অফিসের সামনে আরাফাত হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট নামের সাইনবোর্ড লাগালের বিষয়টি সংবাদকর্মীদের নজরে আসে। এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ার  প্রস্তুতি চলছে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি অফিসের তত্ত্বাবধায়ক ফরিদ হোসেন জানান, শুক্রবার জেলা বিএনপির সহসভাপতি মিঞা আহম্মেদ কিবরিয়াকে ফোন করে অফিসের চাবি মালিক পক্ষের লোকজনের কাছে দিতে বলেন। সভাপতি ও সম্পাদকের অনুমতি ছাড়া চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে মালিক পক্ষ অফিসের তালা ভাঙার চেষ্টা করে। পরে সাইফুল ইসলামকে চাবি দিলে তিনি মালামাল বাইরে বের করে অফিস তালা মেরে দেন। বিএনপির কার্যালয় ভবনটি কিবরিয়ার নামে চুক্তি করা ছিল।

নেতাকর্মীরা জানান, এই জেলার কার্যালয়টি মূলত ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সহসভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়ার উদ্যোগেই কয়েক বছর আগে তার এক আত্মীয়র কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিলো। এতদিন কিবরিয়া এই ভবনের ভাড়া পরিশোধ করেছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের ধারণা এবার মনোনয়ন না পেয়ে কিবরিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে অফিস ছেড়ে দিয়েছেন।

জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান খান বাপ্পি বলেন, ‘ এই অফিসটি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিঞা আহম্মেদ কিবরিয়ার নামে চুক্তি ছিল। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে হয়তো মালিক পক্ষ তালা লাগিছে। তবে এটা তারা ভালো করেনি। আমাদের জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর জেল হাজতে রয়েছেন। তিনি বের হলে মিটিং করে কার্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মিঞা আহমেদ কিবরিয়া এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার আত্মীয়ের কাছ থেকে এই অফিসটি আমি ভাড়া নিয়েছিলাম। এখন পারিবারিক সমস্যার কারণে অফিসটি ছেড়ে দিতে হয়েছে। অফিসের মালামাল আমার হেফাজতে রয়েছে।