সুগন্ধা নদীর ভাঙনে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন

  • অলোক সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঝালকাঠি, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নদী ভাঙনের ফলে খোলা আকাশের নিচেই দিন যাপন করতে হচ্ছে এই পরিবারগুলোকে, ছবি: বার্তা২৪

নদী ভাঙনের ফলে খোলা আকাশের নিচেই দিন যাপন করতে হচ্ছে এই পরিবারগুলোকে, ছবি: বার্তা২৪

ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীর ভাঙন আতঙ্কে ৩টি পরিবার খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করেছে। এ অবস্থায় নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, শহরের বাসস্ট্যান্ডের পেছনে নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন আব্দুল মজিদ (৮৩), ভাই আব্দুল মান্নান (৭০) ও ছেলে আব্দুল ওহাব (৩৮)-এর পরিবার। তাদের টিনের চালার বসতঘরের মাঝখানে কিছুদিন আগে ফাটল দেখা দেয়। ফলে গত কয়েক দিন ধরে ভাঙন আতঙ্কে আছেন তারা। অবশ্য এরই মধ্যে বসত ঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে সেখানে ঘর তৈরি না হওয়ায় শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচেই পরিবার পরিজন নিয়ে রাত যাপন করতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা গেছে, পরিবারের সদস্যরা বসতঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। খোলা আকাশের নিচে চকিতে বিছানা পাতা। পাশে বসে আছেন বৃদ্ধ আব্দুল মজিদ। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বড় ফাটল দেখা দেয়ায় আমরা ভয়ে ছিলাম। যেকোনো সময় ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাই ঘর সরিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু ঘর ভাঙার পর গত রাতে আমরা খোলা আকাশের নিচে ঘুমিয়েছি।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/18/1550474647555.jpg

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, 'এ পর্যন্ত ৭-৮ বার বসতঘর সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। কেউ নদী ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।'

নদী ভাঙনে ঘর হারানো আব্দুল মান্নন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'আমরা দিন আনি, দিন খাই। নদী ভাঙনের কারণে আমাদের বসতঘর সরিয়ে নিতে হচ্ছে। এখন আমাদের অন্যের জায়গায় থাকতে হবে। সরকার যদি নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতো এবং আমাদের আর্থিক সহযোগিতা করতে তাহলে আমাদের এতো কষ্ট করতে হতো না।'

জানা গেছে, আব্দুল মজিদসহ তিন পরিবারের আশপাশে আরও ৮-১০টি বাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে। তাই তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম আতাউর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'