সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মচারীদের নাজেহাল করল দুদক!

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঝালকাঠি, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের নামে ঝালকাঠির সেটেলমেন্ট অফিসের তিন কর্মচারীকে নাজেহাল করেছে বরিশাল দুদক। এছাড়া ওই তিন কর্মচারীর কাছ থেকে বেতন ও নকশা বিক্রির টাকা জোর করে কেড়ে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ঝালকাঠি সেটেলমেন্ট অফিসের সার্ভেয়ার মো. মনির হোসেন, ভারপ্রাপ্ত পেশকার মো. নজরুল ইসলাম ও অফিস সহায়ক সুধির রঞ্জন কিত্তনীয়া। দুদক কর্মকর্তারা তাদেরকে জনসম্মুখে লাঞ্ছিত করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে সার্ভেয়ার মো. মনির হোসেন দাবি করেন, গত বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল দুদকের উপপরিচালক দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচতলায় সেটেলমেন্ট অফিসে যায়। দুদক কর্মকর্তারা অফিসের ভেতরে ঢুকে দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়। অভিযানের নামে দুদক কর্মকর্তারা মনির হোসেনের পাঞ্জাবির পকেট ছিঁড়ে তার জানুয়ারি মাসের বেতনের ১১ হাজার ৪৭০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এই টাকা বেতনের বললে দুদকের কর্মকর্তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

একই সময় পেশকার মো. নজরুল ইসলাম ও অফিস সহায়ক সুধির রঞ্জন কিত্তনীয়ার কাছ থেকে ছাপা পরচা এবং নকশা বিক্রির পাঁচ হাজার ৩৭০ টাকাও জোর করে নিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দুদকের এই হয়রানির বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সেটেলমেন্ট অফিসের তিন কর্মচারী।

বিজ্ঞাপন

সার্ভেয়ার মনির হোসেন জানান, তার চাকরির মূল কর্মস্থল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। গত ১৩ তারিখ তিনি বেতন আনার জন্য ঝালকাঠি থেকে ছুটি নিয়ে চৌদ্দগ্রামে যান। বেতন নিয়ে তিনি ১৭ তারিখ ঝালকাঠি আসেন। দুদক যে টাকা তার পকেট থেকে জোর করে নিয়ে গেছে তা বেতনের টাকা, ঘুষের টাকা নয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে বরিশাল দুদকের উপপরিচালক দেবব্রত মণ্ডল বলেন, ‘সেটেলমেন্ট অফিসের তিন কর্মচারীর কাছে যে টাকা পাওয়া গেছে, তার কোনো সঠিক প্রমাণ দেখাতে পারেনি সার্ভেয়ার মনির ও পেশকার নজরুল। এ ব্যাপারে যেহেতু মামলা হয়নি, তাই টাকা জব্দ না করে তা বরিশাল সেটেলমেন্টের জোনাল অফিসের কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সেটেলমেন্ট কর্মচারীদের গালিগালাজ বা নাজেহালের অভিযোগ সত্য নয়। আমরা যে অভিযান করেছি তা সাধারণ জনগণের সামনে করেছি।’