ইভিএম ব্যবহার হলে রাঙামাটিতে প্রাণহানি এড়ানো যেত: ইসি রফিকুল
‘ইভিএম ব্যবহারের ফলে দ্রুত ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা যায়। রাঙামাটিতে যদি ইভিএম ব্যবহার করা হতো তবে হয়তো আটটি মানুষের প্রাণহানি এড়ানো যেত। দ্রুত ফলাফল ঘোষণা করে সূর্য ডোবার আগেই তারা ফিরে আসতে পারতো।’
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের ইভিএম বিষয়ে প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘মানুষের বুদ্ধি যেমন দিন দিন বাড়ছে, তেমনি নির্বাচন কমিশনেরও বুদ্ধি বাড়াতে হচ্ছে। তাইতো আনতে হচ্ছে ইভিএমের মতো মেশিন। যাতে জাল ভোট ঠেকানো যায়, যাতে অনিয়ম ঠেকানো যায়, যাতে আইনানুগ একটি নির্বাচন করা যায়, গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করা যায়। আর এ জন্যই এই ইভিএমের ব্যবহার।’
জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান খলিফা সহ প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৩১ মার্চ পটুয়াখালী জেলার সাতটি উপজেলায় চতুর্থ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পটুয়াখালী সদর উপজেলার সকল ভোট কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৮ মার্চ) রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ আটজন নিহত হন। এছাড়া অন্তত ২৪ জন গুলিবিদ্ধ হন।