খাগড়াছড়িতে মেলার নামে অশ্লীলতা, র‌্যাফেল ড্রতে সর্বস্বান্ত অনেকে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বৈশাখী মেলার নামে রমরমা জুয়া, অশ্লীল নৃত্যসহ চলছে অসামাজিক নানা কর্মকাণ্ড। র‌্যাফেল ড্রর ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তারপরও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

গত ৯ এপ্রিল থেকে উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের বৈসাবি ও বৈশাখী মেলা শুরু হয়। মেলায় দৈনিক তামান্না র‌্যাফেল ড্র, অশ্লীল নৃত্য ও হাউজি চলছে। অবাধে চলছে জুয়া এবং অসামাজিক কার্যকলাপ। এতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। বিঘ্নিত হচ্ছে এলাকার শান্তি।

বিজ্ঞাপন

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেলায় এক প্রান্তে র‌্যাফেল ড্রর বুথ, অন্য প্রান্তে হাউজি ঘরসহ রয়েছে বেশ কিছু আবদ্ধ ঘর। দিনে মেলা প্রাঙ্গণে সাধারণ দর্শণার্থীর উপস্থিতি কম; কিন্তু রাতে সে চিত্র পুরো ভিন্ন। হাউজি, র‌্যাফেল ড্র, জাদু ও অশ্লীল নাচগান দেখতে একশ্রেণীর দর্শকের উপস্থিতি ব্যাপক বেড়ে যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/19/1555663182483.jpg

বিজ্ঞাপন

এছাড়া সকাল থেকে প্রায় দিনব্যাপী দীঘিনালাসহ পুরো জেলায় র‌্যাফেল ড্র বিক্রির মাইকবাহী গাড়ি চষে বেড়ায়। এসব কিছুর পরও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জুয়া ও অশ্লীলতার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী কথা বলার সাহস করছে না। উপজেলা পরিষদ ও থানা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে বৈশাখী মেলার নামে অনুমতি ছাড়াই জুয়া ও অশ্লীল কার্যকলাপ চললেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।

এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ শিক্ষার্থীরা রাতের পর রাত মেলায় কাটিয়ে দিচ্ছে। নিম্ন শ্রেণির লোকজন সারাদিনের উপার্জিত অর্থ রাতে মেলা প্রাঙ্গণে খরচ করে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরছেন। এ নিয়ে এলাকায় সামাজিক ও পারিবারিক কলহ বাড়ছে। এটি বন্ধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/19/1555663197704.jpg

এ বিষয়ে মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি মজিব মেম্বার বার্তা২৪.কমকে বলেন, অনুমতি আছে কি-না, সেটি জানি না। স্থানীয় সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে মেলার সবকিছু দেখাশোনা করছেন।

জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, কিছু শর্তসাপেক্ষে বৈসাবি ও বৈশাখী মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত ভঙ্গ করে র‌্যাফেল ড্র, হাউজি ও অশ্লীল কিছু করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।