গোপালগঞ্জে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ
গোপালগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিন হাসাপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছে নতুন নতুন রোগী। ওয়ার্ডে বেডের সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে রেইন শেডের নিচে।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রয়েছে মাত্র ১৬টি বেড। কিন্তু বেডের তুলনায় প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়েই রোগীদেরকে ওয়ার্ডের বাইরে রেইন সেডে রাখতে হচ্ছে।
এদিকে, হাসপাতালে সংকট থাকায় বাইরে থেকে কিনে এনে রোগীদের আইভি ফ্লুইড দিতে হচ্ছে।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১৫ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। পুরাতন রোগী রয়েছে ২৪ জন, সব মিলিয়ে রোগী হয়েছে ৩৯ জন। কিন্তু এই ওয়ার্ডে মাত্র ১৬টি বেড থাকায় রোগীদের বাইরে রাখা হচ্ছে বলে জানালেন কর্তব্যরত চিকিৎসক সুভাষ চন্দ্র ভাদুড়ী। তবে ওয়ার্ডে ওরস্যালাইন, ট্যাবলেট, ইনজেকশন সাপ্লাই থাকলেও আইভি ফ্লুইড না থাকায় রোগীদের তা বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
চিকিৎসা নিতে আসা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা বলেন, ওয়ার্ডে সিট নেই, বাইরে থাকতে দিয়েছে। নোংরা পরিবেশ, চারপাশে মল-মুত্র, বর্জ্য, পোকা-মাকড় হেটে বেড়াচ্ছে দেখলেই বমি আসছে, তারপরও বাচাঁর তাগিদে দায় ঠেকে থাকছি। এখান থেকে একমাত্র মূখে খাবার স্যালাইন ব্যাতিত আর কোনো ওষুধ পাওয়া যায় না, বাইরে থেকে অন্যান্য স্যালাইন ও ঔষধ আনতে হয়।
এসব বিষয় নিয়ে কথা বললে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সামনে এসে রোগীদের পাশের নোংরা পরিবেশ, আবর্জনা, পোকামাকড়, দুর্গন্ধ পর্যবেক্ষণ করেন। বলেন, ‘ডায়রিয়া ওয়ার্ডের আশপাশ এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে এবং বাইরে থাকা রোগীদের দ্রুত হাসপাতালের সুবিধাজনক মেঝে স্থানান্তর করা।’