সাগর উত্তাল, মৎস্য বন্দরে ফিরছে ট্রলার
পটুয়াখালী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠছে। এ কারণে গভীর সাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার ট্রলারসহ ছোট মাঝারি সব ধরণের নৌকা মহিপুর আলিপুর মৎস্য বন্দরে ফিরতে শুরু করেছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (১ মে) বিকেলে কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মাছ ধরা ট্রলার সাগরে যাওয়ার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি থাকায় ট্রলার মালিকরা তাদের যাত্রা বাতিল করেছেন।
এছাড়া যেসব ট্রলার মাছ ধরার জন্য সাগরে অবস্থান করছিল নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তারাও বন্দরে ফিরতে শুরু করেছে।
এদিকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দেখা যায় সাগরের বিশাল বিশাল ঢেউ সমুদ্রতীরে আছড়ে পড়ছে। কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি থাকলেও তাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। অনেক পর্যটক তাদের ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যেতে দেখা গেছে।
মহিপুর মৎস্য বন্দরের ট্রলার মালিক সোবাহান ফকির বলেন, ‘সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরতে যাওয়ার সাহস পাচ্ছিনা। এ কারণে মৎস্য বন্দরে জেলেরা অলস সময় পার করছে।’
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফোনির আঘাতে উপকূলে যাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয় এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে।
রেড ক্রিসেন্টের দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ভলান্টিয়াররা ইতোমধ্যে মাঠে কাজ শুরু করেছেন। ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা বিভিন্ন এলাকায় দুটি করে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেমায়েত উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোথাও যেন প্রাণহানি কিংবা হতাহতের ঘটনা না ঘটে সেজন্য আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত বাড়ানো হলে চর অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষকে সাইক্লোন শেল্টারে স্থানান্তর করা হবে। এছাড়া যেসব এলাকায় পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নেই সেসব এলাকার মানুষদের মূল ভূখণ্ডে স্থানান্তর করা হবে। এজন্য উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বঙ্গোপসাগরে অবস্থান নেয়া সকল মাছ ধরার ট্রলার এবং নৌকাকে তীরে ফিরে আসার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।