রায়পুরে এসআই’র বিরুদ্ধে ৩ নারীকে মারধরের অভিযোগ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট লক্ষ্মীপুর বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানা পুলিশের উপ-পরির্দশক (এসআই) গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে অন্তসত্ত্বাসহ তিন নারীক মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ওই এসআইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগী নেহার বেগম থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। এরআগে তিনি বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে (এসপি) জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বিকেলে জেলা শহরে একটি পত্রিকা কার্যালয়ে ভূক্তভোগী নারীরা ওই এসআই'র বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। আহত রুবি আক্তার ও অন্তসত্ত্বা শাহানারাকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী নেহার উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া গ্রামের আমিন উল্যার স্ত্রী।

অভিযুক্ত অন্যরা হলেন লিয়াকত আলী, ভুলু, জাকির হোসেন, মনা, ইসমাইল, ফিরোজ আলম ও শাহীনসহ ১০ জন।

বিজ্ঞাপন

এজাহারে বলা হয়, উপজেলার সোনাপুর গ্রামে প্রতিবেশী জাকির হোসেন ও ইসমাইল পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ তার নেহারদের বাড়ির ওপর দিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করে। কিন্তু এটি পল্লী বিদ্যুৎ থেকে দেওয়া সংযোগ পরিকল্পনা নয়। বিষয়টি পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরে এসআই গোলাম মোস্তফা বিষয়টি মীমাংসা করে পল্লী বিদ্যুতের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময় নেহারের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি জাকির ও ইসমাইলদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নেহারদের ঘরের ওপর দিয়ে বৈদ্যুতিক তার নেওয়ার পাঁয়তারা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে নেহার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ বুধবার (১ মে) সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে নেহারের ঘরের ওপর দিয়ে তার নেয়। বাঁধা দিতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে নেহার ও অন্তসত্ত্বা শাহানারাসহ ৩ জনকে মারধর করার অভিযোগ উঠে আহতদের। এ ঘটনাটির ভিডিও মোবাইলফোনে ধারণের চেষ্টা করা হলে তা ভেঙে ফেলা হয়।

নেহার বেগম বলেন, ‘এর আগে ঘরের ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ তার নিতে না দেওয়ায় জাকির ও ইসমাইলসহ তাদের লোকজন গত ৮ মার্চ আমাদের মারধর করে। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি।’

অভিযোগ অস্বীকার করে রায়পুর থানার এসআই গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিদ্যুতের সংযোগ স্থাপন সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ সময় আমি কাউকে মারধর করিনি। এছাড়া টাকা নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ঘরের ওপর দিয়ে তার যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগ তুলেছেন তারা।’

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ‘লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। পুলিশ কারও প্রতিপক্ষ নয়। বিদ্যুতের লাইন নিয়ে সমস্যার কথা শুনে পুলিশ সেখানে গিয়েছিল। তবে তদন্ত করে সত্য ঘটনা উদঘাটন করা হবে।’