ঘূর্ণিঝড় ফণী
পটুয়াখালীতে নিহত ১, আহত ১১
ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে পটুয়াখালীতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ জন।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের দরবার হলে ঘূর্ণিঝড় ফণীর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গাছ চাপায় আহত মো. হাবিব মুসল্লী (৩৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার (৩ মে) মধ্যরাতে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কুয়াকাটা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের খেজুরা গ্রামের বাসিন্দা হারুন মুসুল্লির ছেলে তিনি।
জেলা প্রশাসক জানান, জেলার ৮ উপজেলায় ১১ জন আহত হয়েছেন। ছয় হাজার ১৮ একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই হাজার ৯২টি ঘরবাড়ি (আংশিক) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৭৫টি গবাদি পশুর ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া, জেলায় ১০ কিলোমিটার বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। ৩১২৫টি গাছপালা ভেঙে গেছে। মাছের ৫০টি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, মির্জাগঞ্জে ০.৫০০ কিলোমিটার, দুমকী ০.৫০০ কিলোমিটার, গলাচিপা তিন কিলোমিটার, রাঙ্গাবালী তিন কিলোমিটার ও কলাপাড়ায় তিন কিলোমিটার বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। মোট ১০ কিলোমিটার বাঁধের ক্ষতি হয়েছে।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় শেষে ভাঙা বাঁধের উপর ইতোমধ্যে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। দ্রুত ভাঙা অংশ মেরামত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে, ফণীর প্রভাবে সাগর ও নদী উত্তাল রয়েছে। সকালেও স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সব ধরনের নৌযান চলাচল শনিবারও বন্ধ আছে। তবে বিভিন্ন ফেরি ঘাটগুলোতে থেমে থেমে ফেরি চলাচল করছে।