কিশোরগঞ্জে নার্সকে ‘চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা’, আটক ২

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ময়মনসিংহ, বার্তা২৪.কম:
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাসচালক নূরুজ্জামান (৩৯) ও তার সহকারী লালন মিয়া (৩৩), ছবি: সংগৃহীত

বাসচালক নূরুজ্জামান (৩৯) ও তার সহকারী লালন মিয়া (৩৩), ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে শাহিনুর আক্তার তানিয়া নামে এক নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হচ্ছেন বাসচালক নূরুজ্জামান (৩৯) ও তার সহকারী লালন মিয়া (৩৩)। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

কটিয়াদি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকালে ঢাকার মহাখালী থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে করে কটিয়াদি ফিরছিলেন। ফেরার পথে তাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পেয়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ বলছে, বাসটি রাত সাড়ে ৯টার দিকে কটিয়াদি আসার পর তানিয়া ও অন্য দুই যাত্রী ছাড়া সবাই নেমে যায়। উজানচর এলাকায় ওই দুই যাত্রীও নেমে যায়। বাসটি গজারিয়া এলাকায় পৌঁছালে চালক ও সহকারী তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে দেয়। সেখান থেকে এলাকাবাসী তাকে কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, হাসপাতালে আনার আগেই শাহিনুরের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে শাহিনুরের ঠোঁটের ডান পাশে এবং বাম চোখের নিচে চামড়ায় ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। দুই হাতে আঁচড়ের চিহ্ন ও শরীরের আরও কিছু অংশে ফোলা ছিল।

বিজ্ঞাপন

এদিকে মঙ্গলবার (৭ মে) ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকা পরিদর্শন করেছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ। তিনি বলেন, এটিকে আমরা প্রাথমিকভাবে গণধর্ষণ হিসেবেই মনে করছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর সঠিক বিষয়টি জানতে পারবো। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

নিহত শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৩) কটিয়াদি উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। রাজধানী ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে নার্স হিসাবে কর্মরত ছিলেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে।