মানবতা‌বি‌রোধী অপরাধ মামলার আসামি টিক্কা খান মারা গেছেন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মানবতা‌বি‌রোধী অপরাধ মামলার ওয়া‌রেন্টভুক্ত আসা‌মি জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা খানের লাশ। ছবি: বার্তা২৪.কম

মানবতা‌বি‌রোধী অপরাধ মামলার ওয়া‌রেন্টভুক্ত আসা‌মি জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা খানের লাশ। ছবি: বার্তা২৪.কম

সাতক্ষীরায় মানবতা‌বি‌রোধী অপরাধ মামলার ওয়া‌রেন্টভুক্ত আসা‌মি জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা খান (৬৭) পলাতক অবস্থায় মারা গে‌ছেন।

টিক্কা খান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী গ্রামের মৃত আইজুদ্দিন মোল্যার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ভারতে পালিয়ে ছিলেন। পালিয়ে থাকা অবস্থায় ভারতেই তার মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১২ মে) মারা যান টিক্কা খান। সোমবার (১৩ মে) গোপনে তার লাশ গ্রা‌মের বা‌ড়ি বৈকারী‌তে আনা হ‌য়।

জানা যায়, একাত্ত‌রে পা‌কিস্তানি‌ হানাদারদের প‌ক্ষে কাজ করায় জ‌হিরুল ইসলাম সাতক্ষীরায় ‘টিক্কা খান’ না‌মে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ভারতে পালিয়ে ছিলেন। টিক্কা খানের বাড়ির আঙিনার ধারে সোনাই নদী পার হলেই ভারত সীমান্ত শুরু।

বিজ্ঞাপন

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মহিদুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মানবতা‌বি‌রোধী অপরা‌ধের দা‌য়ে সাতক্ষীরার ৪ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী যথাক্রমে সদর উপজেলার আলীপুরের আব্দুল্লা‌হিল বাকী,‌ জামা‌য়াতের সা‌বেক এম‌পি বৈকারী গ্রামের আব্দুল খা‌লেক মণ্ডল, শহরের পলাশ‌পো‌ল নবজীবন এনজিওর সা‌বেক নির্বাহী প‌রিচালক খান রোকনুজ্জামান ও বৈকারীর জহিরুল ইসলাম ওর‌ফে টিক্কা খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জা‌তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনা‌লে বিচার চলমান রয়েছে। তাদের বিরু‌দ্ধে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ গত ৬ মে শেষ হয়েছে। আসামিদের ম‌ধ্যে রোকন ও টিক্কাখান শুরু থে‌কেই পলাতক ছিলেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনকে হত্যা, ২ জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করার পর ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।