সৈয়দপুর বিমানবন্দর এলাকায় পাকা বাড়ি নির্মাণের হিড়িক
দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নীলফামারীর সৈয়দপুরে কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে বদলে গেছে এতো দিনের চেনা চিত্র। জমি অধিগ্রহণে সর্বাধিক দাম পাওয়ার আশায় বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায় রাতারাতি কয়েকশ পাকা-বাড়িঘর নির্মাণ করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।
অভিযোগ উঠেছে, অধিগ্রহণ ভুক্ত জমির বাড়তি দাম হাতিয়ে নিতে শত শত স্থাপনা তৈরি করছে চক্রটি।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সৈয়দপুর বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায় নতুন পাকা-দালান নির্মাণের হিড়িক।
জানা গেছে, নীলফামারী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে জমি অধিগ্রহণে ফিল্ড বুকের কাজ। কিন্তু গত এক মাসে কয়েকশ নতুন পাকা দালান উঠেছে অধিগ্রহণের আওতাভুক্ত গ্রামগুলোতে।
পশ্চিমপাড়ার হাড়িপুকুর এলাকার হাবিব ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুনেছি এখানে বিমানবন্দর হচ্ছে। আমাদের কোনো নোটিশ দেয় নাই। আমাদের দাবি হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্তরা যেন জমির ন্যায্য মূল্য পান।’
সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিন জানান, চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মাঠে রয়েছে। তারা সাধারণ মানুষকে উসকে দিয়ে বিমানবন্দর নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম গোলাম কিবরিয়া জানান, সকলের সমন্বয়ে একটি ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়েছে। যারা নতুন করে পাকা ঘর করছে তা ভিডিও দেখে বের করা যাবে। যদি কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই কাজ করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বার্থান্বেষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, বিমানবন্দরের বর্তমান ৬ হাজার ফুটের রানওয়েটি আরও চার হাজার ফুট সম্প্রসারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ৯১২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।