সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ঢুকছে ভারতীয় চাল
আমের রাজধানী হিসেবেখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। জেলার ভোলাহাট, শিবগঞ্জে বেশি আম উৎপাদন হলেও সদর উপজেলা, নাচোল ও গোমস্তাপুরে বেশি আবাদ হয় ধান।
ফলে ধান উৎপাদিত উপজেলাগুলোতে চলছে বোরো ধান কাটাই-মাড়াইয়ের কাজ। ফলন ভালো হলেও ধানের নায্য দাম না পাওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
এই অবস্থায় ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন দেশের কিছু ব্যবসায়ী। বিদেশ থেকে চাল আমদানি করায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে দেশের কৃষকদের। আমদানিকারক ও ভারতের কৃষকরা লাভবান হলেও ক্ষতিস্থ হচ্ছে দেশের কৃষকরা।
বর্তমান মৌসুমে দেশে ধানের উৎপাদন ভালো হওয়া সত্ত্বেও দেশে যখন বিদেশ থেকে ট্রাকে ট্রাকে চাল ঢুকছে ঠিক তখনই এক শ্রেণির মিল-মালিকদের যোগসাজশে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ধান।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক তাসনিম এন্টারপ্রাাইজের সত্ত্বাধিকারী বাবুল জানান, আমরা ভারত থেকে চাল আমদানি করছি। দেশের বাজারে আমদানি করা চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মূলত ভারত থেকে ৩৯০ থেকে ৪০০ ডলার দিয়ে চাল আমদানি করে থাকি। আমাদের আগের এলসি করা চালেও গত ২২ মে‘র পরে নতুন করে সরকারের আরোপ করা ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। যার কারণে আমাদেরও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
সাহাপাড়ার প্রান্তিক কৃষক সাইফুদ্দিন জানান, দেশে ধানের যে উৎপাদন হয়েছে তা দিয়ে এক প্রকার দেশের চাহিদা মিটত। সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি করাতেই আমরা ধানের দাম কম পাচ্ছি। সরকারের কাছে অনুরোধ চাল আমদানি বন্ধ করে দেশের কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে তা বিদেশে রফতানি করতে শুরু করলে নায্য দাম পাব।
সোনামসজিদস্থল বন্দর সহকারি কাস্টমস কমিশনার বিল্লাল হোসেন জানান, চলতি মাসে সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। সবশেষ বুধবার (২২) চাল আমদানি হয়, ১১ ট্রাকে ২৪২ মেট্রিক টন চাল।