সাতক্ষীরায় প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টায় ২১ জনের কারাদণ্ড

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় আটক প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মূল পাঁচ হোতা, ছবি: বার্তা২৪

সাতক্ষীরায় আটক প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মূল পাঁচ হোতা, ছবি: বার্তা২৪

সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ হোতাসহ ২৯ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পরে তাদের মধ্যে ২১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আদলতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুর রহমান প্রত্যেককে দুই বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচজন মূল হোতা ও বাকি ১৭ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে শুক্রবার (২৪ মে) সকালে কলারোয়া থানার পার্শ্ববর্তী সোনালী সুপার মার্কেটে অবস্থিত কিডস কোচিং সেন্টারের ব্লাক বোর্ডে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রের উত্তর লিখে দেওয়ার সময় ওই চক্রকে আটক করা হয়।

সাতক্ষীরায় প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টায় ২১ জনের কারাদণ্ড

বিজ্ঞাপন

আটক সিন্ডিকেটের মূল সদস্যরা হলেন- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার পরানখালি গ্রামের মৃত আহসান আলীর ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম, সাতক্ষীরার কলারোয়ার ঝাপাঘাটা গ্রমের আব্দুল আজিজের ছেলে জনতা ব্যাংক ম্যানেজার আফতাবুজ্জামান, একই উপজেলা একই গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলার চেউটিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, একই উপজেলার কাকবাশিয়া গ্রামের রইছ উদ্দীনের ছেলে শিক্ষক তরিকুল ইসলাম।

র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ নুর সালেহীন সংবাদ সম্মেলনে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলারোয়া থানার পার্শ্ববর্তী সোনালী সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাত নারীসহ ২৮ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তালা উপজেলার ধানদিয়া এলাকা থেকে আব্দুল হালিম নামের এই চক্রের আরো এক হোতাকে আটক করা হয়। এনিয়ে মোট ২৯ জনকে আটক করে র‌্যাব। এর মধ্যে ২১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই বছরের সাজা প্রদান করা হয়। বাকি আটজনের (অভিভাবক) বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

সাতক্ষীরা র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ নুর সালেহীন

তিনি জানান, ঢাকায় বসে একটি প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্র ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে তাদের কাছে মোবাইল ফোনে প্রশ্ন ও তার উত্তর বলে দেবে। এসব প্রশ্ন ও উত্তর ব্লাকবোর্ডে লিখে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। এজন্য সিন্ডিকেটের হাতে অগ্রিম পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। বাকি টাকা পরীক্ষা শেষে দেওয়ার কথা ছিল। চক্রটির কাছ থেকে যে প্রশ্নপত্র উদ্ধার করা হয়েছে তার সাথে মূল প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ২৯ সদস্য আটক