পদ্মায় বিলীন হচ্ছে দোহারের ‘মিনি কক্সবাজার’
বর্ষা আসতে না আসতেই ভাঙতে শুরু করেছে ঢাকার দোহারের পদ্মা তীরবর্তী মৈনট ঘাটে অবস্থিত মিনি কক্সবাজার খ্যাত পর্যটন এলাকা। প্রতিদিনই ভাঙছে এলাকার জমিসহ স্থাপনা। ভাঙনের ফলে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ইতোমধ্যে কয়েকটি দোকান ও স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়েছে। বিগত সময়ে পদ্মার ভাঙনে তাদের ফসলি জমি, ঘরবাড়ি পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। কোনোমতে এলাকায় ব্যবসা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে টিকে আছেন তারা।
চলতি মৌসুমে পদ্মায় স্রোতের বেগ বাড়ার ফলে নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। দোকান নিয়ে চিন্তিত তারা। মৈনট ঘাট এলাকার তীর সংরক্ষণ ও ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই নদীগর্ভে বিলীন হবে মিনি কক্সবাজার খ্যাত এই পর্যটন এলাকাটি। এতে বেকার হয়ে পড়বেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ও শ্রমিক। বাড়বে ভূমিহীন মানুষের সংখ্যা।
মৈনট ঘাটের ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রতি বছর এ ঘাট থেকে কোটি টাকার ওপরে রাজস্ব আয় হয়, কিন্তু ভাঙনরোধে দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। মৈনট ঘাটের ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে। এ ছাড়া মিনি কক্সবাজার সংলগ্ন নারায়ণপুর, চরকুসুমহাটি গ্রামসহ আরও পাঁচ গ্রাম পদ্মার গর্ভে চলে যাবে।
মৈনট ঘাটের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, এক সময় আমার প্রচুর জমি ছিল। এই পদ্মা কেড়ে নিয়েছে। এখানে মৈনটঘাটে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি করি। সরকারে কাছে আমার দাবি, এলাকাটিকে পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করা হোক।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন মুন্সী বলেন, আমি উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। মৈনটঘাট এলাকাটিকে রক্ষা করতে সরকারের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা করা।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা বলেন, মৈনট ঘাটের ভাঙনের বিষয়টি আমি শুনেছি ও পরিদর্শন করে পানি সম্পদ মন্ত্রী মহোদয়ের দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েছি।