মোটরসাইকেল চালিয়ে পায়রা আবাসন প্রকল্পে ডিসি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মোটরসাইকেল চালিয়ে আবাসন প্রকল্প ঘুরে দেখছেন ডিসি মতিউল ইসলাম চৌধুরী/ ছবি: বার্তা২৪.কম

মোটরসাইকেল চালিয়ে আবাসন প্রকল্প ঘুরে দেখছেন ডিসি মতিউল ইসলাম চৌধুরী/ ছবি: বার্তা২৪.কম

পটুয়াখালীর জেলার কলাপাড়া উপজেলার রামনাবাদ নদীর পাড়ে নির্মিত হচ্ছে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এই প্রকল্পটির সর্বশেষ অবস্থা পরিদর্শনে বুধবার (২৯ মে) সকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে প্রকল্পের আবাসন এলাকার নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী।

দুর্গম এলাকায় অন্য কোনো যানবাহন চলাচল না করায় নিজেই পায়রা বন্দরের মোটরসাইকেল চালিয়ে জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্মিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা ও সার্বিক বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় তার সাথে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুনুর রশিদ, পায়রা বন্দরের জমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মুনির লিংকন, কলাপাড়ার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ কুমার প্রমুখ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/29/1559138787396.jpg
Caption

 

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা যায় এবং কোনো ধরনের সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করা যায় এজন্য সার্বিক অগ্রগতি সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে এই প্রকল্প পরিদর্শন করি। তবে দুর্গম এলাকা হওয়ায় আমাদেরকে মোটরসাইকেল চালিয়ে এলাকায় ঘুরতে হয়েছে।

এদিকে একজন জেলা প্রশাসকের মোটরসাইকেল চালিয়ে প্রকল্প এলাকা ঘুড়ে দেখায়, স্থানীয়দের সাথে কথা বলায় ও তাদের খোঁজ খবর নেওয়ায় সাধারণ মানুষও একে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

পটুয়াখালী পায়রা সমুদ্র বন্দর এলাকায় জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত তিন হাজার ৫০০ পরিবারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিউনিটিতে বিভক্ত করে তাদের জন্য বসত বাড়ি, মসজিদ, স্কুল, বাজার, খেলার মাঠসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আবাসন এলাকা গড়ে তোলা হচ্ছে। আগামী বছরের জুন নাগাদ এসব প্রকল্প শেষ হবে বলেও জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।