কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নাড়ির টানে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে কর্মজীবীরা পরিবার-পরিজনকে আগে থেকেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এ কারলে শুক্রবার (৩১ মে) ছুটির দিনের সকাল থেকেই মাদারীপুরের কাঠালবাড়ী ঘাটে বেড়েছে যাত্রীদের ভিড়।
কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌপথ মূলত রাজধানীর সাথে যোগাযোগের জন্য ১২ মাসই ব্যবহার করেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। তবে ঈদ এলেই এদের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এবছর যাত্রীদের সুবিধার্থে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা যায়, এই ঘাটে যাত্রীদের সুবিধার জন্য শনিবার (১ জুন) সকাল থেকেই দূর পাল্লার পরিবহনের লঞ্চ পারাপারের ঘাটটি পুরাতন কাওড়াকান্দি ঘাটে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এতে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ কমবে। ফলে ঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমবে।
বর্তমানে এই নৌরুটে ২০টি ফেরি চলছে। লঞ্চ রয়েছে ৮৭টি। এছাড়া স্পিডবোট রয়েছে দুই শতাধিক।
কাঁঠালবাড়ী লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, সকাল থেকেই যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। যাত্রীদের ভোগান্তি রোধে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি, এবার নির্বিঘ্নে যাত্রীরা ঘরে ফিরতে পারবেন।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, নির্বিঘ্নে যাত্রীদের ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। নির্ধারিত ভাড়ায় যাতায়াত ও যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম রয়েছে। ঘাট এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব দায়িত্বরত রয়েছে। সড়কে যানজট এড়াতে একটি লঞ্চ সার্ভিস সরিয়ে পুরাতন কাওড়াকান্দি ঘাটে নেওয়া হয়েছে।