কুমিল্লায় ঈদের আনন্দ নেই ৮০০ শিক্ষক-কর্মচারীর
বেতন ও বোনাস না পেয়ে কুমিল্লার মুরাদনগরে এমপিওভুক্ত ২৯টি মাদরাসার প্রায় ৮০০ শিক্ষক ও কর্মচারী পরিবারে ঈদ আনন্দ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ প্রেরণের পরেও বেতন-বোনাস না পাওয়ায় জনতা ব্যাংক কোম্পানীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তার অসহযোগিতার কারণে বেতন-বোনাস উত্তোলন করতে না পারায় আনন্দের ঈদ হতাশায় পরিণত হতে চলছে ৮০০ পরিবারের। নিজের জন্য না হলেও পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন কাপড় কেনাও হয়ে উঠেনি এখনো।
মুরাদনগর উপজেলা মাদরাসা শিক্ষক কমিটির সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, মুরাদনগরে এমপিওভুক্ত ২৯টি মাদরাসার বেতন ও বোনাসের কপি জমা দিয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য বৃহস্পতিবার বিকালে জনতা ব্যাংক কোম্পানীগঞ্জ শাখায় যাই। সেখানে শাখা ব্যবস্থাপক আবদুল লতিফ আমাদের কাগজপত্র জমা না নিয়ে উল্টো আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বেতন-বোনাসের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় হলেও ব্যাংক ম্যানেজার আমাদের দেয়নি। ঈদের আগে আগামী সোমবার একদিন মাত্র ব্যাংক খোলা রয়েছে। সেদিন যদি টাকা না পাই, তাহলে আমাদের ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হবে।’
এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংক কোম্পানীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক আবদুল লতিফ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘মাদরাসার শিক্ষকদের অভিযোগ সত্য নয়। শিক্ষকরা যখন ব্যাংকে এসেছিলেন, তখন তাদের বেতন ও বোনাসের অর্থ আমাদের কাছে আসেনি, পরে এসেছে। আশা করি সোমবার শিক্ষকরা বেতন বোনাস নিতে পারবেন।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম তালুকদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। শিক্ষকরাও এই বিষয়ে কেউ আমাকে জানাননি। ঈদের আগে শিক্ষকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে কথা বলব।’