সঠিক সময়ে ছাড়ছে না পটুয়াখালীগামী লঞ্চ
প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। দেশের অনান্য জেলার মতো রাজধানীর সদরঘাটে পটুয়াখালীগামী যাত্রীদের বাড়তি চাপ রয়েছে। কিন্তু ঘাট থেকে সঠিক সময়ে ছেড়ে আসছে না পটুয়াখালীর লঞ্চগুলো।
সোমবার (৩ জুন) সকাল থেকেই সকাল থেকেই ধাপে ধাপে বিভিন্ন এলাকার লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এমভি এ আর খান এবং এম ভি রাসেল ৪ সদরঘাট থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এছাড়াও এমভি কুয়াকাটা, এমভি কাজল, এমভি সুন্দরবন-৭, এমভি পূবালী-৫ এবং এমভি বাগেরহাট-২ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে অনেক যাত্রী সেহরি খেয়েই লঞ্চে জায়গা করে নিলেও লঞ্চ ছাড়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। ফলে অনেকে বিরক্ত হচ্ছেন।
এমভি কুয়াকাটা লঞ্চের যাত্রী আরিফুল হক সম্রাট বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সকাল ১০টায় কেবিনে উঠেছি, এখন দুপুর গড়িয়ে বিকাল। কিন্তু এখনও লঞ্চ ছাড়ার কোনও খবর নেই। আমাদের বলা হয়েছিল, সকালেই লঞ্চ ছেড়ে যাবে। এছাড়া লঞ্চের ডেক থেকে শুরু করে কেবিনে যাত্রীরা কাপড় বিছিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।’
পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার এস এম ফারুক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সোমবার ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে প্রায় ১০টি লঞ্চ ছেড়ে যাবে।’
অধিকাংশ লঞ্চ সন্ধ্যার পর পটুয়াখালী পৌঁছানোর কথা রয়েছে। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, সেজন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে লঞ্চঘাট থেকে শুরু করে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন অলিগলিতেও সিসি ক্যামেরা এবং এলইডি (উচ্চ আলোর) লাইট লাগানো হয়েছে। এছাড়া যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে সাতটি খেয়াঘাট আগামী পাঁচ দিনের জন্য টোল ফ্রি করা হয়েছে।