ঈদে ড্রিম হলিডে পার্কে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়
ঈদের বন্ধে নরসিংদীর একমাত্র আন্তর্জাতিকমানের চিত্তবিনোদন কেন্দ্র ড্রিম হলিডে পার্কে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। পার্কজুড়ে বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। বৃষ্টিবিঘ্নিত আবহাওয়ার কারণে ঈদের দিন তেমন দর্শনার্থী না থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠছে পার্কটি। দিন গড়িয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভীড় অনেকটা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। ঈদকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও স্বপ্নের পদ্মাসেতুর আদলে তৈরি স্থাপনাসহ নতুন রাইডস সংযোজনের পাশাপাশি পার্কটিকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
পার্ক কর্তৃপক্ষ ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে পাঁচদোনার চৈতাবতে ৪০ একর জমিতে গড়ে উঠা দৃষ্টিনন্দন আন্তর্জাতিকমানের এই পার্কটিতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় শুরু হয়েছে। কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টির লুকোচুরির মাঝেও বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে আসতে শুরু করেন বিভিন্ন জেলার বিনোদনপ্রেমীরা। শিশু ও নারীসহ সব বয়সী মানুষ বিভিন্ন রাইডস উপভোগ করেন। এবারের ঈদের লম্বা ছুটি কাটানো ও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে অনেকেই স্বপরিবারে বেড়াতে এসেছেন এখানে।
এ বছর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ সাম্প্রতিক সময়ে দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের আদলে পার্কটিতে তৈরি স্থাপনাগুলো দর্শনার্থীদের নতুন আকর্ষণ। পার্কে রয়েছে বেশকিছু কটেজ। যেগুলোতে পরিবার নিয়ে অবস্থান করে ঈদ আনন্দ উপভোগের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া পার্কে বুলেট ট্রেন, এয়ার বাইসাইকেল, সোয়ান বোট, ওয়াটার বোট, রোলার কোস্টার, সুইং চেয়ার, স্পিডবোটসহ আন্তর্জাতিকমানের বিভিন্ন রাইডস উপভোগের পাশাপাশি সুইমিং পুল রয়েছে।
কুমিল্লা থেকে আসা সজীব সরকার বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতেই ড্রিম হলিডে পার্কে আসা। এখানকার দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে একটা দিন কাটাতে পেরে ভালো লেগেছে। তবে সবগুলো রাইডস উপভোগ করতে অনেক টাকার প্রয়োজন, যা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য কষ্টকর।
সিলেট থেকে আসা মাইনুল ইসলাম বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিনভর খুব মজা করলাম। বাচ্চারা বিভিন্ন রাইডস চড়ে আনন্দ উপভোগ করেছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা জুলহাস মোল্লা বলেন, এখানে আসার যাতায়াত ব্যবস্থাসহ পরিবেশ খুবই ভালো। প্রতি উৎসবেই এখানে আসার চেষ্টা করি। নিত্যনতুন রাইড স্থাপন করে দর্শনার্থীদেরকে আকর্ষণ করে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
ড্রিম হলিডে পার্কের এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা বলেন, দর্শনার্থীদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রতিবছরই পার্কটিতে নতুন আকর্ষণ রাখার চেষ্টা করি। এবারও পার্কটিকে আরও আধুনিক করাসহ পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ ব্যতিক্রমী নতুন স্থাপনা সংযোজন করা হয়েছে। আশা করি, দর্শকরা তাদের চাহিদা মতোই ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।