নোনা পানিতে ভাসছে সাতক্ষীরার ৯ বিল

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নোনা পানিতে ভাসছে সাতক্ষীরার বিলগুলো। ছবি: বার্তা২৪.কম

নোনা পানিতে ভাসছে সাতক্ষীরার বিলগুলো। ছবি: বার্তা২৪.কম

নোনা পানিতে ভাসছে সাতক্ষীরার ৯টি বিল। এতে এ বছর আমন চাষ করতে পারবে না বলে সংশয় প্রকাশ করেছে শত শত কৃষক। এ কারণে অজানা আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।

কৃষকরা জানান, পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় মরিচ্চাপ নদীকে হত্যা করা হয়েছে। নদীকে খাল বানানো হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের পথ নেই। যেসব বিলের পানি মরিচ্চাপ নদীতে নিষ্কাশন হতো, সেই সব বিলের পানি বিকল্প পথে বেতনা নদীতে নিষ্কাশন করা হয়। কিন্তু সে পথও সংকীর্ণ। বর্ষাকাল সমাগত। জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় কৃষকের বুক দুরুদুরু করছে।

বিজ্ঞাপন

যে বিলগুলোর বুক ছিল ধন ধান্যে পুষ্প ভরা, সেই বিলে এখন পানি থৈ থৈ করছে। তবে এ পানি বৃষ্টির পানি নয়। কৃত্রিমভাবে প্রভাবশালীরা মাছের ঘেরে নদীর নোনা পানি তুলতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে।

নোনা পানি ঢুকিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বুড়ামারা, পালিচাঁদ, ঢেপুরবিল, চেলারবিল, জোড়দিয়ার বিল, খড়িলের বিলসহ ৯ বিল ডুবানো হয়েছে। কৃষকরা এখন কৃত্রিম জলাবদ্ধতার শিকার। বেতনা নদীর আমোদখালি স্লুইস গেট দিয়ে ঈদের দুদিন আগে থেকেই এভাবে নোনা পানি ঢুকাচ্ছে প্রভাবশালীরা। এতে করে এলাকার অন্তত ৩৭টি গ্রামের কৃষকদের বুক অজানা আতঙ্কে কেঁপে উঠছে।

বিজ্ঞাপন

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান জানান, ঈদের ছুটির ফাঁদে নদীর নোনা পানি তুলেছে ঘের মালিকরা। এতে হাজারো কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। আমোদখালি স্লুইস গেট বন্ধ ছিল এবং তা খুলতে মানা ছিল। কিন্তু প্রভাবশালীরা গেট খুলে পানি উত্তোলন করেছে। আর নোনা পানি উত্তোলন করতে দেয়া হবে না।