পরিত্যক্ত জলাশয় পরিণত হচ্ছে মাছের খামারে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী খাল। ছবি: বার্তা২৪.কম

পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী খাল। ছবি: বার্তা২৪.কম

পরিত্যক্ত খাল এবং জলাশয় খনন করে মাছ চাষের সুযোগ সৃষ্টি করায় উপকৃত হচ্ছে উপকূলের মানুষ। এর ফলে মাছের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি পুকুর ও খালের পানি কৃষকরা সেচেও ব্যবহার করতে পারছে।

মৎস্য উৎপাদনের পাশাপাশি স্থানীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নেও জলাশয়গুলো এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে মৎস্য অধিদপ্তরের জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে ‘মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পের আওতায় উপকূলের পরিত্যক্ত জলাশয়গুলো খনন করা হচ্ছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী খালটি এক সময়ে কচুরিপানা এবং ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় ছিল। তবে সংস্কারের মাধ্যমে সেই খালটি এখন মাছ চাষের একটি উপযুক্ত ক্ষেত্র। মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় স্থানীয় যুবকরা সেই খালটি মাছ চাষের উপযোগী করে তুলেছে। পাশাপাশি খালের দুই পাশে প্রশস্ত মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এই খালটিকে ঘিরে মাছ চাষের স্বপ্ন দেখছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

বিজ্ঞাপন

জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় পুকুর, খাল, দিঘি এবং জলাধার খননের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় খাল খননের পাশাপাশি খালের দুই পাশে রাস্তা নির্মাণ, বৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে। আর এসব কাজে প্রকল্পের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তাও করা হচ্ছে। এর ফলে খুশি এই এলাকার সাধারণ মানুষ।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আলিমুজ্জামান চৌধুরী জানান, দেশের ৫৩টি জেলার ২২৯টি উপজেলায় এই প্রকল্প চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৭০ শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ২০২০ সালের জুন নাগাদ এই প্রকল্প সমাপ্ত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে স্থানীয় মানুষ সরাসরি এর সুফল ভোগ করতে পারছে। এখন স্থানীয়রা যেমন মৎস্য উৎপাদনের সুযোগ পাবে, তেমনি দেশের অর্থনীতিতেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।

২৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রতি বছর ৬৩৩৭.৫ মেট্রিক টন অতিরিক্ত মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি দেশের ৮ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।