কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ১৫
নড়াইলে কুকুরের কামড়ে শিশু-নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহতদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৭ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে, নড়াইল সদর উপজেলার যদুনাথপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ঘরের বারান্দায় শুয়ে ছিল একটি কুকুর। জাকিরের স্ত্রী রোকসানা বেগম রান্না করার জন্য পাশের ঘরে জ্বালানি আনতে গেলে কুকুরটি উঠে এসে তাকে কামড় দেয়। এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির অন্যরা এগিয়ে গেলে কুকুরটি পালিয়ে যায়।
পালিয়ে গেলেও রাস্তায় সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কামড়ে দেয় কুকুরটি। পর্যায়ক্রমে কুকুরের কামড়ে আহত হয় যদুনাথপুর গ্রামের মিন্টু দাসের ছেলে সাগর দাস (১৩), রহমতপুর গ্রামের আক্কাস আলীর মেয়ে আখি (১৭), দৌলতপুর গ্রামের দ্বীন মোহাম্মদের স্ত্রী হেনা বেগম (৫৫), আব্দুস ছাত্তারের ছেলে শরিফুল (৩৫), আউড়িয়া গ্রামের ইমদাদুলের ছেলে আকাশ (১০), খায়রুল ইসলামের ছেলে তানভির (৮), ফুলস্বর গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে ইয়াসিন (৫), তারাপদ গাছীর ছেলে সন্দীপ (৪), কালাম মিয়ার ছেলে মেহেদী (১৩), কালনা গ্রামের মনির শেখের ছেলে মাসুম (৯), বরাশুলা গ্রামের রাজু (৩০) সহ কমপক্ষে ১৫ জন।
আহতদের নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়েছে।
বল্লারটোপ আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী রহমতপুর গ্রামের আক্কাস আলীর মেয়ে আখি খানম বলেন, ‘আমি বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়ার জন্য কলেজের দিকে যাচ্ছিলাম। শম্ভুডাঙ্গা গ্রামের মধ্যদিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে কুকুরটি এসে কামড় দেয়। এসময় আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসার আগেই কুকুরটি দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
ফুলস্বর গ্রামের তারাপদ গাছী বলেন, ‘আমার সাড়ে তিন বছর বয়সী সন্তান সন্দীপকে ঘরের বারান্দায় থেকে কুকুরে কামড়িয়েছে। মাতৃহীন আমার এই সন্তানটিকে নিয়ে এখন হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু হাসপাতালে ভিড় এতো বেশি যে, ডাক্তার দেখানোর সুযোগই পাচ্ছি না।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রোখসানা বিনতে আকবর বলেন, ‘সকাল থেকে পর্যায়ক্রমে কুকুরে কামড়ানোর রোগী আসতে শুরু করে হাসপাতালে। আমরা যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।'