কুমিল্লায় ভাড়া বাসায় অবৈধ ক্লিনিক!
কুমিল্লার মুরাদনগরে ভাড়া বাসায় চলছে অবৈধ প্রাইভেট ক্লিনিক। জেলা সিভিল সার্জন ও প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই উপজেলার বাঙ্গরা বাজার সংলগ্ন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রাইভেট ক্লিনিক গড়ে তুলেছেন শারমিন সুলতানা নামের এক নারী। ওই ক্লিনিকে তিনি মূলত গর্ভবতী নারীদের প্রসব করান। তিনি নবীনগর উপজেলার কুনিকাড়া গ্রামের নান্নু চৌধুরীর মেয়ে। তার স্বামীর নাম বাবুল সরকার।
অভিযোগ আছে, শারমিন সুলতানা নিজেকে অভিজ্ঞ ডাক্তার (মিডওয়াইফ) পরিচয় দিয়ে রোগী টানার চেষ্টা করেন। তাছাড়া রোগীর সংখ্যা বাড়াতে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি সিন্ডিকেট। যারা আশেপাশের সাধারণ গর্ভবতী নারীদের ওই ক্লিনিকে পাঠান। জেলা সিভিল সার্জনের অনুমতি বা ট্রেড লাইসেন্স না থাকলেও প্রতি মাসে ৫০টির বেশি নরমাল ডেলিভারিসহ নানা চিকিৎসা দেওয়া হয় ওই ক্লিনিকে।
চিকিৎসা নিতে ওই ক্লিনিকে বোনকে ভর্তি করিয়েছেন জেসমিন আক্তার নামে এক নারী। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমরা জানি এই হাসপাতালে বড় মহিলা ডাক্তার আছে, তাই এখানে চিকিৎসা করাইতে আসছি। কিন্তু তিনি যে ডাক্তার না, সেটা জানতাম না। তাছাড়া হাসপাতাল বৈধ না অবৈধ সেটাও আমরা জানি না।’
খামার গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘জানতাম তিনি বড় ডাক্তার, তাই আমার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি।’
ক্লিনিক পরিচালনাকারী শারমিন সুলতানা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমি কোনও প্রতারণা করছি না। কারণ যে রোগীর চিকিৎসা করতে পারি তাদের ভর্তি করি। যাদের চিকিৎসা করতে পারি না তাদের অন্য হাসপাতালে পাঠায়।’
তবে তার পরিচালিত ক্লিনিকের অনুমোদন আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি কোনও উত্তর দিতে পারেন নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীনুর মোহাম্মদ বশীর আহাম্মদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘সিভিল সার্জনের অনুমোদন ছাড়া ও মেডিকেল নীতিমালার বাইরে ক্লিনিক করার সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও এসিল্যান্ড সাইফুল ইসলাম কমল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’