ভারী বর্ষণে ডিমলা-জলঢাকার ১৫ গ্রাম প্লাবিত
অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে উত্তরের জেলা নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা বেষ্টিত চরাঞ্চলের প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত বুড়ি তিস্তা, আউলিয়া খানা, দেওনাই, চাড়ালকাটা, ধাইজান, খড়খড়িয়া, যমুনেশ্বরীসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে পানির তোড় ছুটে চলেছে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার কম থাকলেও দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার, বিকেল ৩টায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার এবং বিকেল ৫টায় বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ডিমলা উপজেলার ৮ নং ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়ী ও ছাতুনামা গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
একই উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, গত বুধবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। আজ বিকেল পর্যন্ত ইউনিয়নের পূর্ব ছাতনাই মৌজার প্রায় এক হাজার পরিবারের ঘরবাড়িতে হাঁটু পানি উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী পানিবন্দী মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে বলা হচ্ছে।
জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসেন জানান, আজ তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় ইউনিয়নের হলদিবাড়ি ও ভবনচুর গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে পাউবো ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। বিকেল ৫টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো (৪৪টি) জলকপাট খুলে রেখে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুর্বল স্থানগুলো শক্তিশালী করতে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হচ্ছে।