ভোগান্তির অপর নাম দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন পার হয় দুই হাজারের অধিক ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। আর এসব যানবাহন নদী পার করার কাজে ব্যবহৃত হয় ১৮টি ফেরি।
কিন্তু ঘাটে এসে বিভিন্ন কারণে যানবাহনগুলোকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। ভোগান্তি যেন পিছু ছাড়ছে না যাত্রী ও যানবাহনের চালক-শ্রমিকদের।
ঘাটে এসে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয় নদী পারের জন্য। আর এই অপেক্ষা করতে গিয়ে নানাবিধ সমস্যায় জর্জড়িত হচ্ছেন তারা। মানসিক, শারীরিকসহ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে তাদের।
ঘাটে এসে তিন দিন ধরে নদী পারের অপেক্ষায় থাকা ট্রাক চালক আলিমুদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ঘাট পার হওয়ার কথা মনে পড়লেই যন্ত্রণা বেড়ে যায়। দিনের পর দিন ঘাটে এসে অলস বসে থাকা কতটা যে কষ্টের, তা ভুক্তভোগীরা ছাড়া কেউ বুঝবেন না।’
সূত্র জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ সময়ই বিভিন্ন কারণে কম সংখ্যক ফেরি চলাচল করে। এতে ঘাটে দেখা দেয় তীব্র যানজট। আবার যে কয়টি ফেরি চলাচল করে, সেই কয়টি ফেরির বয়স এতো বেশি যে নদীতে একটু স্রোত বেশি হলেই তা আর স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না। ফেরিগুলোর ইঞ্জিন দুর্বল হয়ে পড়েছে।
তাছাড়া ঘাট এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। আর আষাঢ় মাসজুড়ে ঘাটের অবস্থা থাকে খুবই শোচনীয়। ঘাটে কোনো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নকর্মী না থাকায় ঘাট থাকে সব সময় অপরিচ্ছন্ন। তাছাড়া পানি নিষ্কাশনের পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে বাসস্ট্যান্ডের সড়কে জমে হাঁটু পানি। সবকিছু মিলে ভোগান্তির অপর নাম এখন দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘এই নৌরুটে চলাচল ফেরিগুলোর ইঞ্জিন অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। ফেরিগুলোর বয়স অনেক। তাই নদীতে স্রোত বাড়লে ফেরিগুলো স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না। আর এ কারণে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে যায়। যার কারণে ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়।’