ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

কুমিল্লার চৌয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চেয়াম্যানসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

এর প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন তার সমর্থকরা। এতে সড়কের দুই পাশে অন্তত ২৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার হাজী আক্রাম উদ্দিন স্কুলের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- চৌয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চৌয়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সোহাগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জামাল পোদ্দার, মেজবাহ উজ্জামান উজ্জল, যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম ও ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. সবুজ।

বিজ্ঞাপন

Comilla

খবর পেয়ে কুমিল্লা র‌্যাব-১১, ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশ ও সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম সারওয়ার, সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই বাবলু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

তাদের প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাসের ভিত্তিতে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন নেতাকর্মীরা। তবে ততক্ষণে মহাসড়কের দু’পাশে অন্তত ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

Comilla

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উর রশিদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এ ঘটনায় আহত খোরশেদ আলম বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে আজ্ঞাতনামা আরো ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম সারওয়ার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, সদর দক্ষিণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোনো প্রকার গ্রুপিং ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। হঠাৎ কুমিল্লা মহানগরের ২২নং ওয়ার্ডের কতিপয় উৎসাহী নেতাকর্মী সোহাগ চেয়াম্যানসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে হঠাৎ উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাই।