অফিস সময়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস, দুদকের অভিযান
কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে জেলা শহর মাইজদীর একটি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন একজন ডাক্তার। এ খবর পেয়ে তার চেম্বারে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন।
রোববার (২৫ আগস্ট) দুদক নোয়াখালীর বিভাগীয় পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফৌজিয়া ফরিদ কর্মস্থলে না গিয়ে অফিসের সময়ে রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে মাইজদীর একটি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন এ খবর পেয়ে দুদক ওই ডাক্তারের চেম্বারে অভিযান চালায়। দুদক ওই ডাক্তারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এ সময় তার প্রেসক্রিপশনে দেখা যায়, তিনি ব্যবস্থাপত্রে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ উল্লেখ করেছেন অথচ তার এমবিবিএস ব্যতীত অন্য কোন ডিগ্রি নেই। এছাড়া তিনি প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা অবধি রোগী দেখেন বলে ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করেছেন।
পরে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মোমিনুর রহমান এসে ওই ডাক্তারের ডিউটি রোস্টার ও ডিজিটাল উপস্থিতি পরীক্ষা করার জন্য সোনাইমুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে হাজিরাসহ অন্যান্য ডাক্তারদের উপস্থিতিতে অসংগতি দেখতে পায়। এসময় হাসপাতালে গোডাউন রেজিস্টারের সঙ্গে ওষুধ সরবরাহে অব্যবস্থাপনা পাওয়া যায়। যাচাইকালে অন্যান্য ডাক্তারদের ডিজিটাল উপস্থিতিতেও অসংগতি পাওয়া যায়।
দুদক নোয়াখালীর বিভাগীয় পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুদকের হট লাইনে অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান করা হয়। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্তের পর প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ডাঃ ফৌজিয়া ফরিদ ও সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মোমিনুর রহমান কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।