ভ্রাম্যমাণ নরসুন্দর

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় কয়েক যুগ ধরে ভ্রাম্যমাণভাবে দাড়ি ও চুল কাটছেন নরসুন্দররা। তারা বিভিন্ন হাট বাজারে খোলা আকাশের নিচে বসে চুল ও দাড়ি কেটে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা সদরের যাত্রাপুর হাটের বিভিন্ন স্থানে বসে চুল ও দাড়ি কাটার কাজ করছিলেন ২০ জন নরসুন্দর। সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাটে আসা মানুষ তাদের কাস্টমার।

বিজ্ঞাপন

সদর উপজেলার চরযাত্রাপুর থেকে হাটে আসা নুর ইসলাম (৫৫) বলেন, ‘আমি ছোট বেলা থেকেই এই ভ্রাম্যমাণ নরসুন্দরদের কাছে চুল ও দাড়ি কাটছি। আমি গরিব মানুষ। সেলুনে চুল ও দাড়ি কাটাতে গেলে ৫০ থেকে ৭০ টাকা গুনতে হয়। আর এদের কাছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকায় চুল ও দাড়ি কাটানো যায়। সেলুন আর এদের কাজের মান প্রায় সমান।’

বিজ্ঞাপন

নরসুন্দর কাশেম আলী (৪৫) ও মোহাম্মদ আলী (৭০) বলেন, ‘এটি আমাদের বাপ ও দাদার আমলের পেশা। তারা যুগের পর যুগ কাজ করেছেন। তাদের কাছ থেকে আমরাও এ কাজ শিখে নিয়েছি। এ কাজ করে প্রতিদিন আমাদের ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা আয় হয়। এর উপর নির্ভর করে আমাদের সংসার চলে। সপ্তাহে শুধুমাত্র বুধবার ছাড়া প্রতিদিনই কাজ করা হয়। আমাদের এখানে প্রায় ৩ শতাধিক নরসুন্দর রয়েছে।’

কুড়িগ্রাম নরসুন্দর সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র জানান, যারা সেলুন দিয়ে ব্যবসা করে তাদের ঘর ভাড়া ছাড়াও আনুষঙ্গিক ব্যয় থাকে। সেসব ব্যয় ভ্রাম্যমাণ নুরসুন্দরদের করতে হয় না। তাই তারা অল্প পারিশ্রমিকে কাজ করেন।