কলা চাষে লাখপতি রাজা মিয়া
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মিরনপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক রাজা মিয়া (৬৫)। কৃষক পরিবারেই তার জন্ম। বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি কলা চাষ করা তার নেশা ও পেশা। প্রায় ২০ বছর ধরে কলা চাষ করে এখন লাখপতি রাজা মিয়া।
মিরনপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে রাজা মিয়া। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ৫০ শতক জমিতে কলা চাষ করেছেন তিনি। যদিও এক সময়ে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো তার। ধান-পাটসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে তেমন আয় করা সম্ভব হত না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতেন তিনি। দরিদ্রের কষাঘাত থেকে রেহাই পেতে প্রায় ২০ বছর আগে বগুড়ার নেহাজ উদ্দিন নামে এক কলা চাষির পরামর্শে তিনি কলা চাষ শুরু করেন তিনি।
কলা চাষের প্রথম বছর মুনাফা পান তিনি। ফলে কলা আবাদে আকৃষ্ট হন। সেই থেকে রাজা মিয়া কলা চাষাবাদ করে আসছেন। ফলশ্রুতিতে রাজা মিয়া দরিদ্রকে জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। কলা বিক্রির আয় দিয়ে সন্তানদের লেখাপড়াও শিখিয়েছেন তিনি। ছেলে বিজিবিতে চাকরি করেন এবং মেয়েদেরও ভালো ঘরে বিয়ে দিয়েছেন। এমনকি বাড়িও করেছেন তিনি।
রাজা মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘এবারও ৫০ শতক জমিতে কলা চাষ করেছি। যার মধ্যে ৫০০টি গাছে কলা ধরেছে। যাতে খরচ হয়েছে ২২-২৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে কলা বিক্রি শুরু করেছি। আশা করছি, এ বছর লক্ষাধিক টাকার কলা বিক্রি করা সম্ভব।
রাজা মিয়া অভিযোগ করে আরো বলেন, 'কলা চাষের বিষয়ে কৃষি বিভাগের কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না। ওষুধ ছিটানোর জন্য একটা স্প্রে মেশিন চেয়ে আবেদন করা হলেও মেশিন পাওয়া যায়নি।'
সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'কৃষক রাজা মিয়া কলাচাষ করে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাকে সার্বিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।'