ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ ট্রেনের সংঘর্ষ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবাতে ট্রেন দুর্ঘটনা
  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দভাগ স্টেশন এলাকায় সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা-নিশীথা ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৭৪জন।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

নিহতরা হলেন, চাঁদপুরের- হাজিগঞ্জের পশ্চিম রাজারগাঁওয়ের আবদুল জলিলের ছেলে মজিবুর রহমান (৫৫), হবিগঞ্জের বাহুলার ইয়াছিন আরাফাত (১২), হাজিগঞ্জের পশ্চিম রাজারগাঁওয়ের মজিবুর রহমানের স্ত্রী কুলসুম বেগম (৩০), হাইমচরের দক্ষিণ ঈশানপুরের মঈন উদ্দিনের স্ত্রী কাকলী (২০), হাইমরচরের ঈশানপুরের জাহাঙ্গীরের মেয়ে মরিয়ম বেগম (৬), উত্তর বালিয়ার বিল্লাল মিয়াজির মেয়ে ফারজানা (১৫), হাইমচরের দক্ষিণ ঈশানপুরের আমাতুন বেগম (২০), হবিগঞ্জের- বানিয়াচংয়ের আইয়ুব হোসেনের ছেলে আল আমীন (৩০), চুনারুঘাটের তীরগাঁওয়ের মৃত আবদুল হাশিমের ছেলে সুজন আহমেদ (২৪), সৈয়দাবাদের আজমতউল্লাহর ছেলে মো. রিপন মিয়া (২৫), আনোয়ারপুরের ইউসুফ আলী (৩২), চুনারুঘাটের আহমাদাবাদের আবদুস সালামের স্ত্রী পিয়ারা বেগম, বানিয়াচংয়ের বড়বাজারের সোহেলের মেয়ে আদিবা (২), মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মুসলেম মিয়ার স্ত্রী জাহেদা খাতুন (৪৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সোহেল রানার মেয়ে সোহামনি (৩), নোয়াখালীর মাইজদীর শংকর হরিজনের ছেলে রবী হরিজন (২৩)।

ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড়

কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা-নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। দুটি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এ ঘটনায় ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সর্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘নিহত ১৬ জনের ভেতরে ৯ জনের মরদেহ স্পটে পাওয়া গেছে। এছাড়া তিনজন কসবা মেডিকেল হাসপাতালে, দুই জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে এবং একজন কুমিল্লা মেডিকেল মারা যান।’

ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ

তিনি আরও বলেন, ‘আহত হয়েছেন ৭৪ জন। এদের মধ্যে ২৭ জন কসবা মেডিকেল হাসপাতালে, ৩৬ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে, ১১ জন কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’

কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, ‘এ দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।’