ওসির হস্তক্ষেপ, স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চুয়াডাঙ্গা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বর ও কনে পক্ষ আর বাল্য বিবাহ সংগঠিত করবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করে, ছবি: সংগৃহীত

বর ও কনে পক্ষ আর বাল্য বিবাহ সংগঠিত করবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করে, ছবি: সংগৃহীত

সবকিছুই ঠিকঠাক। রাতের আঁধারে নাবালিকা কন্যার বাড়িতে হাজির বর ও বরযাত্রীরা। রান্নাও শেষ প্রায়। অপেক্ষা শুধু বিয়ের। কাজী আসার অপেক্ষায় তখন বাড়ির সবাই। তবে কাজী নয় আসলো পুলিশ। ভেস্তে গেল সকল আয়োজন। বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেলেন বর ও কনে পক্ষ।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের আরজুল্লাহ মিয়ার মেয়ে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয় দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাদশা মল্লিকের ছেলে পারভেজ মল্লিকের (১৯)।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের নির্দেশে কাজী আসার আগেই বিয়ে বাড়িতে হাজির হয় হিজলগাড়ী ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই প্রভাস চন্দ্র সাহাসহ পুলিশের একটি ফোর্স। এ সময় তারা বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে দুই পক্ষকেই বোঝান। পরবর্তীতে বর ও কনে পক্ষ আর বাল্য বিবাহ সংগঠিত করবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করে রক্ষা পান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হিজলগাড়ী ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই প্রভাস চন্দ্র।

 
বিজ্ঞাপন