সাভারে শীতজনিত রোগে ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে

  • মাহিদুল মাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাণ্ডার কারণে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঠাণ্ডার কারণে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

তীব্র শীতে নাস্তানাবুদ সাভারের জনপদ। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের প্রকোপ দিন দিন বাড়তে থাকায় এখানকার সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তরুণদের শীত কাবু করতে না পারলেও অসুস্থ হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। ফলে ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনই ঠাণ্ডাজনিত রোগে রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। গত তিন দিনে শুধু সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় দেড় হাজারের বেশি ঠাণ্ডাজনিত রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে প্রায় ১৪৪ জন।

বিজ্ঞাপন
শিশু ওয়ার্ডে রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে

এছাড়া আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি আছে প্রায় ১৮ জন বৃদ্ধ ও শিশু। অন্যান্য বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে প্রায় ৩০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুকে ভর্তি করা এক মা বার্তা২৪.কমকে বলেন, হঠাৎ আমার মেয়ের পাতলা পায়খানা শুরু হয়, সাথে বমিও করতে থাকে। পরে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার দেখার পর বলে ডায়রিয়া হয়েছে। ছোট বাচ্চা তাই কোনো ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করলাম। চিকিৎসা চলছে আপাতত আমার মেয়ে ভাল আছে।

বিজ্ঞাপন

একই হাসপাতালে ভর্তি লতিফার মা আঞ্জয়ারা বার্তা২৪.কমকে বলেন, অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় আমার মেয়ের নিউমোনিয়া হয়েছে। আজই ভর্তি করেছি খুবই ভয়ে ছিলাম। তবে এখানকার ডাক্তাররা খুবই যত্নশীল, তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা দেখে ভালই মনে হচ্ছে। আশা করছি এখানেই আমার মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠবে।

বার্তা২৪
আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি আছে প্রায় ১৮ জন বৃদ্ধ ও শিশু

চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘আমার বয়স বেশি হয়েছে, শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কমে গেছে। তাই শীতে সহজেই কাবু হয়ে পড়েছি। নিয়মিত চিকিৎসা নিতে আসতে হয় এই হাসপাতালে। ডাক্তার দেখানোর পর ওষুধ কিনে নিয়ে বাড়ি চলে যাবো।

এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সায়েমুল হুদা বলেন, ‘এখন তীব্র শীত, এ সময় শিশু আর বৃদ্ধদের একটু অতিরিক্ত যত্ন নিতে হবে। সেই সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে তারা যেন ঠাণ্ডায় কাবু না হয়। পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।'