মেহেরপুরে চলছে নির্মাণ কাজ, করোনা ঝুঁকিতে শ্রমিকরা
মেহেরপুরে এখনো চলছে নির্মাণ কাজ। পাকা ঘর তৈরিসহ বিভিন্ন কাজ চলছে আগের মতোই। নির্মাণ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে না পারায় করোনাভাইরাস ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজারের গো হাটের পাশে সাজ্জাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন ভবনের দোতলার ছাদ ঢালাই চলছে। সেখানে কাজ করছেন প্রায় ৩০ জন শ্রমিক। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিরাপত্তা ছাড়াই এসব শ্রমিকরা এক সঙ্গে কাজ করছেন।
নির্মাণ শ্রমিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখনো অনেক জায়গায় নির্মাণ কাজ চলছে, তাই আমরাও করছি।’ করোনা ঝুঁকি মাথায় রেখেই তারা কাজ করছেন বলে স্বীকার করেন।
ভবন মালিক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আগে থেকেই ছাদ ঢালাই দেয়ার সব প্রস্তুতি ছিল, তাই কাজটি বন্ধ করতে পারিনি।’
বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগের মতো এখনো জেলার বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে ভবন নির্মাণসহ নানা প্রকার নির্মাণ কাজ করছেন রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিকরা। গত ২৬ মার্চ যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট এবং অফিস বন্ধের ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসন। এতে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে যায়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে স্বাভাবিক রয়েছে নির্মাণ কাজ।
গাংনী উপজেলার ইমরত নির্মাণ শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সমিতির কার্যনির্বাহীর সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা সব ধরনের কাজ বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করেছি। কেউ যদি নির্দেশনা না মানে, তখন প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।’
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, ‘সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সচেতন করা হচ্ছে। এর মধ্যে নির্মাণ কাজ চালু রাখা খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’