তিন ইস্যুতে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী

প্রতীকী

টানা ছয় কার্যদিবস দরপতনের পর তিন ইস্যুতে দেশের দুই পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। তিনটি ইস্যুর মধ্যে একটি হলো- পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেনের পদত্যাগের গুজব।

বাকি দুটি হলো- ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) বিনিয়োগের খবর এবং ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

এ তিন ইস্যুতে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১১০ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২৪২ পয়েন্ট। পাশাপাশি বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারে দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধন বেড়েছে ৭ হাজার ৭৭৩ কোটি ৪৫ লাখ ৫ হাজার টাকা। যে খাতে চলতি বছরে ২৪ জানুয়ারির পর থেকে সোমবার পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারিয়েছে ৬৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।

বিজ্ঞাপন

ব্রোকারেজ হাউজ এবং বিনিয়োগকারীরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে টানা চারদিন দরপতনের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম দু’দিন রবি ও সোমবার পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। বাজারে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে দরপতনের দায়ে বিএসইসি‘র চেয়ারম্যান পদত্যাগ করছেন।

অন্যদিকে আইসিবি সোমবার (১৪ অক্টোবর) ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা বাজার থেকে ২শ’ কোটি টাকার শেয়ার কিনবে। ২শ’ কোটি টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক আইসিবিকে দিয়েছে। মঙ্গলবার আইসিবি সেই টাকা বিনিয়োগ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন।

এছাড়াও পুঁজিবাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী এগিয়ে আসতে শুরু করেছে ব্যাংকগুলো। এ লক্ষ্যে রেপোর (পুনঃক্রয় চুক্তি) মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ সংগ্রহ শুরু হয়ে গেছে।

ফলে টানা ছয় কার্যদিবস পর দেশের দুই পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হলো। ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আস্থা ও তারল্য সংকটে তলানিতে ঠেকেছে দেশের পুঁজিবাজার। ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে অনেক কম। সার্বিকভাবে ডিএসইর পিই রেশিও এখন ১২-তে অবস্থান করছে। ২০১০ সালের ধসের পরও এত নিচে নামেনি। এখান থেকে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবেই।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে এরই মধ্যে সোমবার (১৪ অক্টোবর) বেসরকারি সিটি ব্যাংক ৫০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে। ব্যাংকটি নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের পোর্টফোলিওতে এই অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে।

বর্তমানে সিটি ব্যাংকের মতো আরও ১৫টি ব্যাংকের রেপোর অর্থ নেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। সিটি ব্যাংক সেই অর্থ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। বাকি ব্যাংকগুলো এ অর্থ নিয়ে বিনিয়োগ করলে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

গত ২২ সেপ্টেম্বর পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটাতে রেপোর আওতায় ব্যাংকগুলোকে তহবিল সুবিধা দিতে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সার্কুলার জারির তারিখ থেকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর আবেদন করার সুযোগ রাখে।