পুঁজিবাজার থেকে ২৩৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ওমেরা
ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ২৩৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সংগ্রহ করবে ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। এর মধ্যে ১৮৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে কোম্পানিটি ৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন এলপিজি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক মানের সমুদ্রগামী জাহাজ কিনবে। এছাড়া ঋণ পরিশোধে ব্যয় হবে ৪৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত রোড শো’ অনুষ্ঠানে কোম্পানির উদ্যোক্তারা এসব তথ্য জানান।
রোড শো’তে ওমেরা পেট্রোলিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল হক আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ৬২ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক মবিল যমুনা বাংলাদেশ লিমিটেড। এছাড়া কোম্পানির অন্যান্য অংশীদারের মধ্যে আছে বি বি এনার্জি এশিয়া পিটিই লিমিটেড এবং সিঙ্গাপুর ও নেদারল্যান্ডের আর্থিক প্রতিষ্ঠান এফএমও।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এলপি গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় রেখে ২০১৫ সালে সম্পূর্ণ ইউরোপিয়ান প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের মধ্য দিয়ে ওমেরা পেট্রোলিয়াম এলপিজি খাতে যাত্রা শুরু করে। এলপিজি আমদানি করে ওমেরা পাঁচটি ভিন্ন আকারে যথা ৫ দশমিক ৫, ১২, ২৫, ৩৫ ও ৪৫ কেজি সিলিন্ডারে বোতলজাত করে গৃহস্থালি এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বাজারজাত করে থাকে।’
কোম্পানির সিইও বলেন, ‘এলপিজি সংরক্ষণ এবং ব্যবহারকারীদের নিকট বিতরণের জন্য ওমেরার রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন অবকাঠামোগত সুবিধা। ওমেরার রয়েছে ৯ হাজার ৫০ মেট্রিক টন এলপিজি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন পাঁচটি ট্যাংক। এছাড়া মোট ১ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি এলপিজি বহনকারী বার্জ আছে, যা আভ্যন্তরীণ নৌপথে এলপিজি পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি ওমেরার রয়েছে ৩২টি এলপিজি পরিবহনকারী রোড ট্যাংকার, যার প্রত্যেকটি ধারণ ক্ষমতা ১৭ মেট্রিক টন। প্রতিদিন এক শিফটে ৬০ হাজার সিলিন্ডার বোতলজাত করার সক্ষমতা রয়েছে ওমেরার।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ওমেরা পেট্রোলিয়ামের পরিচালক আজম জে চৌধুরী, তানজিল চৌধুরী, রিয়াজ আবু নাসের বাসান্তে, বাহাদিন মোহামেদ আবুল নাসের বাসান্তে, রিচার্ড ভারবোভে, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আকতার হোসেন সান্নামাত, কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।