‘লাইফ সাপোর্টে’ বিনিয়োগকারীরা, পুঁজি ফিরে পেলেন ৪ হাজার কোটি টাকা

  • মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আস্থা ও তারল্য সংকটে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমে তলানিতে ঠেকেছে। ফলে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা সংকটে পড়েছে বাজার।

আর তাতে পুঁজি হারা বিনিয়োগাকীদের মধ্যে চলছে শুধু হাহাকার। এ অবস্থায় বিদায়ী সপ্তাহ একটু ইতিবাচকভাবে পার করেছেন তারা। এ সপ্তাহে তিন দিন সূচকের উত্থান আর দুই দিন দরপতন হয়েছে। তাতে বেড়েছে মূলধন। তবে কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।

বিজ্ঞাপন

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে পুঁজিবাজারের উত্তোরণের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দিচ্ছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ২শ’ কোটি টাকার ফান্ড দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। বিনিয়োগ করছে সিটি ব্যাংকও। এছাড়াও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ফোর্স সেল কমে যাওয়ার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বাজারে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে পুঁজি বেড়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পুঁজি বেড়েছে ২ হাজার ৫৮ কোটি ৬২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পুঁজি বেড়েছে ১ হাজার ৮৯৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে পুঁজি কমেছিল সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য মতে, বর্তমানে দুই পুঁজিবাজারে ২৫ লাখ ৫৬ হাজার বেনিফিশিয়ারি ওনার্সধারী (বিও) রয়েছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, গত সপ্তাহের (২০-২৪ অক্টোবর) মোট পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৩৫৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কেনা বেচা হয়েছে। তাতে মোট ১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা ৫৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা ৮৭ লাখ ১২ হাজার টাকা। যার দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০৯ কোটি ১১ লাখ ১২ হাজার টাকায়। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ৩১২ কোটি ৭৭ লাখ ৪২ হাজার টাকা।

লেনদেনের পাশাপাশি ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে কমেছে ৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই শরীয়াহ সূচক বেড়েছে ২ পয়েন্ট। বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ২৪৪টির, আর অপরিবর্তীত রয়েছে ২১টির।

অপর বাজার সিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১২১ কোটি ৯১ লাখ ১৬ হাজার ৩০৪ টাকা। লেনদেন হওয়া ৩০২ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১০০টির, কমেছে ১৮৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দাম। আর তাতে সিএসইর প্রধান সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৫৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।