২১ দফা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি চান বিনিয়োগকারীরা

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল ও বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

চলমান দরপতনে বিপর্যস্ত পুঁজিবাজারকে সুসংহত করতে বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অপসারণ করে সৎ, মেধাবী ও যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিশন পুনর্গঠনসহ ২১ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ২১ দফা দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আপনি দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেশে দুর্নীতি বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চলমান রেখেছেন। পুঁজিবাজারেও শুদ্ধি অভিযান চালানো দরকার, কারণ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব যাদের হাতে তারাই দুর্নীতি ও অনিয়ম করছেন। ঘুষ নিয়ে দুর্বল কোম্পানির আইপিওর অনুমোদন, প্লেসমেন্ট বাণিজ্য ও রাইট শেয়ার অনুমোদনের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুপাট করেছেন তারা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা আপনি, বর্তমান কমিশনের দুর্নীতি তদন্ত করে কমিশন পুনর্গঠনের ব্যবস্থা নিন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কমিশনের অসাধু ব্যক্তিদের কারণে গত ৯ বছরের স্থিতিশীল হয়নি পুঁজিবাজার। বরং প্রতিনিয়তই বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হাজারাচ্ছেন, কমছে লেনদেন ও সূচক।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়—স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের স্বার্থে আগামী ৩ বছর নতুন করে আইপিও এবং রাইট শেয়ার ইস্যু বন্ধ রাখতে হবে। ক্যাসিনো মার্কেটের মতোই বিএসইসি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, আইসিবি, মার্চেন্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো বাংলাদেশে স্টক এক্সচেঞ্জ গঠন করাও দরকার।

দ্রুত সংকটময় পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে অর্থযোগানের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়ে বলা হয়, এই ফান্ড থেকে ৩ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে হবে। মিউচ্যুয়াল্ড ফান্ডগুলোকে সক্রিয় করতে হবে।

এছাড়াও কোম্পানিগুলোকে বোর্ডসভায় লভ্যাংশ ঘোষণার ৭ দিনের মধ্যে এজিএম করা এবং ২০১০-২০১৯ সালের পতনের কারণের যেসব বিনিয়োগকারী অসুস্থ হয়ে, হার্ট অ্যাটাক করে আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ মোট ২১ দফা দাবি জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।