শাহ মোহাম্মদ সগীরের নিবন্ধন বাজেয়াপ্ত
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেকহোল্ডার (ডিএসই) শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের নিবন্ধন সনদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করায় ডিএসইর সদস্য (ট্রেকহোল্ডার) বাজেয়াপ্তের পর বিক্রি করে গ্রাহকদের পরিশোধ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭০৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশনের নতুন স্থাপিত কাস্টমার কমপ্লেইন্ট অ্যাড্রেস মডিউলে শাহ সগীরের বিরুদ্ধে ৪৮টি অভিযোগ করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই আইপিও’র জন্য জমা দেওয়া টাকা ফেরত না পাওয়া। যা উদ্ধারে কমিশন ডিএসই ও ডিবিএ-কে গত ১৭ অক্টোবর চিঠি প্রদান করে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহ্বান করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। কমিশনের নির্দেশে ডিএসই একটি পরিদর্শন পরিচালনা করে। এতে গ্রাহকদের বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাতের চিত্র বেরিয়ে আসে।
এসব অনিয়মের কারণে বিএসইসি শাহ মোহাম্মদ সগীরের বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুল ৩ (১এ) অনুযায়ী, গ্রাহকের পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা নিতে ডিএসইকে নির্দেশ প্রদান করা হবে। এই আইনে ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সনদ বাজেয়াপ্ত করে, তা বিক্রির মাধ্যমে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধে করার ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আত্মসাতের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের করার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হবে।