মন্দা বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী ১০ হাজার

  • মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মন্দা বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী ১০ হাজার

মন্দা বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী ১০ হাজার

অক্টোবর মাসে নতুন করে ১০ হাজার বিনিয়োগকারী বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও হিসাব) খুলেছেন । শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন কোম্পানির আইপিওতে আবেদনে অংশগ্রহণ এবং ফোর্স সেল কমার পাশাপাশি শেয়ারের দাম যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে কমে যাওয়ায় এখন পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে এমন প্রত্যাশায় নতুন করে বিনিয়োগ করছে বিনিয়োগকারীরা।

বিজ্ঞাপন

সিডিবিএলটির তথ্য মতে, গত ৬ অক্টোবর বিনিয়োগকারীদের বিও সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৬২ হাজার। সেখান থেকে ১০ হাজার বিও বেড়ে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৮টিতে।

এর মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও সংখ্যা ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৩টি। নারী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৩৯টি। এছাড়াও অমনিবাস ও কোম্পানির বিও হিসাব রয়েছে ১৩ লাখ ৪৬টি।

বিজ্ঞাপন

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার এখন তলানিতে রয়েছে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অপেক্ষায় আছে বাজার। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, টানা নয় মাস দরপতনের ফলে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পুঁজি নিয়ে বাজার ছেড়েছেন।

মার্জিন লোন কিংবা ধার দেনা না করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছেন এমন বিনিয়োগকারীরা নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। তারা বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। আর তাতে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম যৌক্তিক মূল্যের নিচে থাকায় নতুন করে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী হয়েছে।

ডিএসইর ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশিদ লালী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, জানুয়ারি মাসের পর থেকে টানা দরপতনের ফলে সব কোম্পানির শেয়ারের দাম যৌক্তিক মূল্যের নিচে চলে এসেছে। এখন ঘুরে দাঁড়াবেই। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের এখন উত্তম সময়।

তবে দ্বিমত পোষণ করে ডিবিএ’র বর্তমান সভাপতি শাকিল রিজভী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, রিং সাইন টেক্সটাইলের পর এডিএন টেলিকম কোম্পানির আইপিওর আবেদনকে কেন্দ্র করে কিছু বিও হিসাব বেড়েছে। কিন্তু এগুলো সেকেন্ডারি মার্কেটের বিনিয়োগকারী। প্রকৃত পক্ষে এই বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে শেয়ার কিনবে না। রবং লটারিতে শেয়ার পাওয়ার পর লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে চলে যাবে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত অক্টোবর মাসে ২২ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ১ কোটি ৮৩ লাখ ১১ হাজার ৭৬ টাকা। এর আগের মাসে ২১ কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছিল ৮ হাজার ৪৯৫ কোটি ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩২৪ টাকা। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসে ডিএসইর বিনিয়োগকারীদের লেনদেন কমেছে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ৪১ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৮ টাকা। লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে সূচক ও বাজার মূলধনও।