দরপতন ঠেকাতে অর্থমন্ত্রী-গভর্নরের সঙ্গে বসবে ডিএসই
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের পর দ্বিতীয় দিন সোমবারও (৯ ডিসেম্বর) শেয়ার বাজারে বড় দরপতন হয়েছে। দুই বাজারেই এদিন সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।
বাজারে এই পরিস্থিতিতে থেকে উত্তোলনে জরুরি বৈঠকে বসে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ।
এই জরুরি সভা থেকে তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, সংকটাপন্ন এই পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি থেকে উত্তোলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে বাজার পরিস্থিতি ও টেকসই উন্নয়নের প্রস্তাবনা তুলে ধরবেন ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম।
বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান। তিনি বলেন, ডিএসইর বিশেষ বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুঁজিবাজারের বর্তমান সমস্যাগুলো অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে তুলে ধরা হবে।
সোমবার দেশের প্রধান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৬২ পয়েন্ট। ফলে সোয়া তিন বছরের আগের অবস্থানে ফিরেছে পুঁজিবাজার। এদিন ডিএসইএক্স সূচক ৬২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে দাঁড়ায়। এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট ডিএসইর সূচক ছিল ৪ হাজার ৫২৬ পয়েন্ট। অর্থাৎ ৩ বছর ৩ মাস ৯দিন পর শেয়ারবাজারে সূচক আবারো আগের জায়গায় ফিরেছে।
এদিন, ডিএসইতে সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ২৩৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫৩টি শেয়ারের দাম। আর তাতে লেনদেন হয়েছে ২৭৫কোটি ২৯ লাখ ৫ হাজার টাকা।
এর আগের দিন রোববার লেনদেন হয়েছিল ৩৪৯ কোটি ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে ৬৪ কোটি টাকা কম।
একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ও(সিএসই)। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮২৮ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৭৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা।
রোববার বড় দরপতনের পর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরু হলেও মাত্র ২৬ মিনিটের মাথায় কারিগরি ত্রুটির কারণে লেনদেনের তথ্য বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট পর ১২টা ১৪ মিনিটে ডিএসইর ওয়েবসাইটে লেনদেনের তথ্যগুলো দেখা যায়। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আর তাতে বাজারে সোমবারও বড় দরপতন হয় বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।