ভয়ানক বিপর্যয়ে পুঁজিবাজার

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আস্থা ও তারল্য সংকটে ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। পৌনে ২৬ লাখ বিনিয়োগকারীর ক্ষতি হয়েছে ৮১ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা। আর এ সময়ে লেনদেন হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ২০০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। যা ২০১০ সালের চেয়ে বড় ধসে পরিণত হয়েছে।

এদিকে, ব্যবসা হারিয়ে ব্রোকারেজগুলো শাখা অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখন শুধু হতাশা আর হাহাকার বিরাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

বিনিয়োগকারী সৌরভ চন্দ্র সাহা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘পুঁজিবাজার আমাকে নিঃস্ব করেছে, হতাশ করেছে। অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার আশ্বাসে এ বছর নতুন করে ৯ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছিলাম। কিন্তু এখন সেই শেয়ারের দাম ৩ লাখ টাকা। বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো উদ্যোগ দেখছি না।’

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে মূলধন কমলো ১৭ হাজার কোটি টাকা

বিজ্ঞাপন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ভয়ানক অবস্থায় নিমজ্জিত হয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। এই বাজারে এমন কোনো বিনিয়োগকারী নেই যে, লোকসানে পড়েনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাজারের প্রতি এখন আর বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই। তাই দরপতন হচ্ছে।’

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ৮১ হাজার ৯৬৬ কোটি ৬২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পৌনে ২৬ লাখ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার ৩২৫ কোটি ৩২ লাখ ১১ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: জোর করে বাড়ানো হলো পুঁজিবাজারের সূচক

এদিন ব্যাংক, বিমাসহ বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৭৮ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৮১ কোটি ৫৬ লাখ ২২ হাজার টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ২৭৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসইর) সূচক কমেছে ২৩০ পয়েন্ট। লেনদনে হয়েছে মাত্র ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ১৭৩টির, অপরিবর্তিত ছিল ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে, পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করার উদ্যোগ নিলেও এখন থমকে গেছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি হতাশায় ভুগছেন বলে মনে করেন বিনিয়োগকারী মিজানুর রশিদ চৌধুরী।