৬ শতাধিক গার্মেন্টস চালু, সোমবার খুলবে আরও ৫ শতাধিক

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক দফায় বাড়ানোর পর সরকার ঘোষিত দেশব্যাপী সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৫ মে পর্যন্ত। এ ছুটির মধ্যে রোববার (২৬ এপ্রিল) প্রথম দফায় রফতানিমুখী ৬ শতাধিক তৈরি পোশাক কারখানা চালু করেছেন মালিকরা।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) নতুন করে আরও ৫ শতাধিক কারখানা চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে সব গার্মেন্টস খোলা হবে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে কয়েক দফা বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বিভিন্ন কৌশল ও তদবিরের মাধ্যমে ‘অর্থনীতির চাকা সচল’ রাখার দোহাই দিয়ে কারখানাগুলো চালু করেছেন মালিকরা।

তার জন্য শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) থেকেই কর্মচারী ও শ্রমিকদের ডেকে আনা হয়েছে গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে। তবে ৫ মে পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শনিবারও (২৫ এপ্রিল) অনেক শ্রমিকই কর্মস্থলে ফিরেছেন বিকল্প উপায়ে।

তৈরি পোশাক কারখানা বা রেডিমেড গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমএইএ) তথ্য মতে, রোববার তাদের সদস্যভুক্ত ৫০২টি পোশাক কারখানা খুলেছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ১৮টি, সাভার-আশুলিয়ার ১২৯টি, ঢাকার ২৫টি, গাজীপুরের ২৩৮টি ও চট্টগ্রামের ৯২টি কারখানা খোলা হয়েছে। আর দেশের বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) মতে, রোববার তাদের ১০ থেকে ১২টি কারখানা খোলা ছিল।

এছাড়া বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) শতাধিক কারখানা চালু করা হয়েছে রোববার। তবে তার আগে থেকেই মাস্ক ও পিপিই উৎপাদনকারী প্রায় শতাধিক কারখানা চালু ছিল।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, পোশাকশিল্পের ৮৬৫টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি আছে। এ পর্যন্ত তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে। আমাদের ওপর কারখানা খুলে দেওয়ার চাপ আছে। অনেকের অর্ডার আছে। এলাকাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দিনক্ষণ বেধে, সীমিত আকারে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে কারখানা খুলে দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে তিনি সবার সহযোগিতা চান।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোতে যদি অর্ডার চলে যায়, তাহলে তা ফেরত আনা কঠিন হবে। তাই সীমিত শ্রমিক নিয়ে সীমিত আকারে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।

এ কারণে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমইএ ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে কারখানা বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা দেয়নি।

বরং শনিবার বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গার্মেন্টস মালিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অঞ্চলভিত্তিক পোশাক কারখানা চালু করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

সদস্যদের উদ্দেশে কারখানা খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিজিএমইএ’র ওয়েবসাইটে এক বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য সামগ্রিক বিবেচনায় বিজিএমইএ আপনাকে জোনভিত্তিক, সীমিত পরিসরে কারখানা খোলার পরামর্শ দেবে সরাসরি। এর আগে শ্রমিকদের ঢাকায় না আনার জন্যও সদস্যদের পরামর্শ দেওয়া হলো।

বার্তায় বিজিএমইএ সদস্যদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সেইসব কর্মীদের নিয়ে কারখানা চালু করুন, যারা কারখানার নিকটবর্তী স্থানে বসবাস করেন।

বিজিএমইএ’র বার্তায় আরও বলা হয়েছে, মানবিক কারণে শ্রমিকদের ছাঁটাই না করার জন্য সদস্যদের অনুরোধ করা যাচ্ছে। অনুপস্থিত শ্রমিককে এপ্রিল মাসের বেতন পৌঁছে দেওয়া হবে।

এদিকে পোশাক কারখানা খোলায় সতর্কতা অবলম্বন বিষয়ে রোববার (২৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিবের কাছে আবার চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)। গার্মেন্টস খোলার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক কারখানায় চল্লিশ লাখ শ্রমিক কাজ করেন, যারা এখনও দারিদ্র সীমার নিচে বাস করেন, স্বল্প শিক্ষিত এবং করোনার সংক্রমণের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে তত সচেতন নন। এদিকে পবিত্র মাহে রমজান মাস চলছে, সামনে পবিত্র ঈদ। এ সময়ে শ্রমজীবী মানুষের বিশাল একটি অংশের জন্য নিরাপদ কর্ম এলাকা, কর্মস্থলে অসংক্রমিত যাতায়াত, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করা দরকার। এসব নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে একাধিক শিফট চালু করা যেতে পারে।

ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এ শ্রম শিল্পে শ্রমিক ও অন্যান্য কর্মীকে সুস্থ রাখার স্বার্থে পরীক্ষামূলকভাবে প্রশাসনের নজরদারিতে কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় প্রথমে কারখানা খোলা রাখা যেতে পারে। শ্রমজীবী মানুষের সুস্থতা ও নিরাপত্তা শুধু কারখানা মালিকের ওপর ছেড়ে দেওয়া সঙ্গত হবে না। সেজন্য প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, পরিবহন, শ্রম পরিদর্শক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিয়মিত নজরদারি প্রয়োজন। অন্যথায় বিগত সময়ের বিভিন্ন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে এবং বিদেশে পোশাক রফতানিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় তৈরি পোশাক কারখানায় সংক্রমণ নিরোধ ব্যবস্থা, শ্রমিকের নিরাপত্তা, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সচেতনতা, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই। এ সতর্কতা শিল্প কারখানার জন্য একান্ত আবশ্যক বলে মনে করেন সংগঠনটির সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসেন।

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;